মৌলিক আইন বাংলায় অনুবাদ করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট

হাইকোর্টফাইল ছবি

প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ, আইন কমিশন, বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ ও আইন অনুষদের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ–সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে এ সিদ্ধান্ত দেন।

প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী ২০২২ সালে একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৪ মার্চ হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুলে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা অর্থবহভাবে বাস্তবায়ন করতে দেশের প্রচলিত মৌলিক আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রচলিত মৌলিক আইন বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হলো।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। বাংলা একাডেমির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তবারক হোসেন।

রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, যেসব মৌলিক আইনের ওপর ভিত্তি করে দেশের বিচারব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন নেই। যে কারণে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। এর আগে আদালত কমিটি করতে নির্দেশ দিয়ে অগ্রগতি জানাতে বলেছিলেন। তবে কমিটি গঠন করা হয়নি। রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট প্রচলিত মৌলিক আইন বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটি মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়নের উদ্যোগ নেবেন। এ–সংক্রান্ত কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে কমিটিকে আগামী ২৯ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। রুল নিষ্পত্তি করে আদালত এ রায় দিয়েছেন। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।’

রিট আবেদনকারী ১০ আইনজীবী হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জোবায়েদুর রহমান, মো. আবদুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।