পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা: কর্মকর্তাদের সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমের খবরে ক্ষোভ
সম্প্রতি পুলিশের একাধিক সাবেক কর্মকর্তার সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা খবর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় অংশ নেওয়া অনেকে এই ক্ষোভের কথা জানান। তাঁদের কেউ কেউ এ ধরনের খবর প্রকাশে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তোলেন।
সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আলোচনার সারসংক্ষেপ জানা যায়।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই সভা গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। সভায় ২০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা আলোচনায় অংশ নেন। ঢাকার বাইরের পুলিশ কর্মকর্তাদের কেউ কেউ অনলাইনে সভায় যুক্ত হন।
নিজের ও পরিবারের নামে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাটসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অস্বাভাবিক পরিমাণ সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে কিছুদিন ধরে আলোচনায় আছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে অবসরপ্রাপ্ত আরেক কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের সম্পদ। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ও আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের মালিকানার বিষয়গুলো সামনে আসায় বিষয়টিকে অস্বস্তিকর মনে করছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা। কেউ কেউ এটাকে বাহিনীর ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ন হিসেবে দেখছেন। তাই এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে গতকাল বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটি বৈঠক করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, এটা অ্যাসোসিয়েশনের ঈদ-পরবর্তী সভা। এতে কেবল গণমাধ্যমে খবরের কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের বিষয়ে নয়, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠক–সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, ব্যক্তি ধরে প্রতিবেদন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীকে আক্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে বৈঠকে কেউ কেউ মত দেন। এমন মতও এসেছে যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে পুলিশ বাহিনী নয়, ব্যক্তি আক্রান্ত হচ্ছে।
বৈঠকে একজন পুলিশ কর্মকর্তা দাবি তোলেন, যাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন, তাঁরা জামায়াত ও বিএনপির।