ছাত্রদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ
ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. নুরে আলমের মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে তারা।
মো. নুরে আলম গত রোববার ভোলায় সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ডাকা কর্মসূচিতে ভোলায় পুলিশ গুলি করে ছাত্রদল নেতা নুরে আলমকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বর্তমান সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত উন্নয়ননীতির ফলাফল এই জ্বালানিসংকট ও লোডশেডিং। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে বিরোধী দলগুলোর যেকোনো জনবান্ধব ও যৌক্তিক মিছিল-সমাবেশে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, এরই ধারাবাহিকতায় ভোলায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি করে আবদুর রহিমকে হত্যা করে এবং সেদিন গুরুতর আহত হন নুরে আলম। হাসপাতালে বুধবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এটি পরিষ্কার হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং দায়িত্বে অবহেলার দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।
ঢাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
এদিকে ‘পরিকল্পিতভাবে পুলিশ দিয়ে’ ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তারা।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা মিছিল বের করেন। ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্যসচিব আমানউল্লাহ আমান এতে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্টের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।