আদালতের আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর জায়গা ইজারা দেওয়ায় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) আইনজীবী আজ সোমবার এ নোটিশ দেন। মনজিল মোরসেদ নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রথম আলোর কাছে।
যাঁদের আদালত অবমাননার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও উপব্যবস্থাপক (এস্টেট) মো. শিহাব উদ্দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে কর্ণফুলী নদীর জায়গা ইজারা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্থানীয় একটি পত্রিকায় দরপত্র আহ্বান করা হয়। উক্ত দরপত্রে বলা হয়, ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আরএস ৬০১ দাগ ১০ বছরের জন্য ইজারা প্রদান করা হবে। আজ বিষয়টি এইচআরপিবির নজরে আসে।
নোটিশে বলা হয়, কর্ণফুলী নদী রক্ষার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে ২০১০ সালে একটি রিট করে। রিটে আদালত কর্ণফুলী নদীর সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর জেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনার তালিকা দাখিল করে। এতে ফিরিঙ্গি বাজার মৌজার আরএস ৬০১ দাগ নদীর জায়গা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্ট কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর জায়গা উদ্ধার করার নির্দেশনা রয়েছে। অপর একটি জনস্বার্থ মামলায় আপিল বিভাগ কর্তৃক নদীর জায়গার ইজারা না দেওয়ার আদেশ থাকা সত্ত্বেও কর্ণফুলী নদীর জায়গা ইজারা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার অপরাধ।
তিন দিনের মধ্যে উক্ত ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল এবং দরপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নোটিশদাতাকে অবহিত করা না হলে, তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।