শিশু আয়ানের পর খালার মৃত্যু

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

রাজধানী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু আয়ানের পর মারা গেছেন তার খালা ফুতু আক্তার। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে ফুতু আক্তার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে গতকাল বুধবার ভোর চারটার দিকে মারা যায় দগ্ধ তিন বছরের শিশু আয়ান। ফলে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত নয়টা পর্যন্ত শিশু আয়ানসহ দুজনের মৃত্যু হলো। শিশু আয়ানের মা রুক্সি আক্তার ও নানা আবদুল মান্নানের অবস্থাও সংকটাপন্ন বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।

আয়ানের মা রক্সি আক্তার (২০) কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তাঁর চিকিৎসা করাতেই তাঁরা ঢাকায় আসেন। রক্সির স্বামী সিরাজুল মোস্তফা দুবাইপ্রবাসী। ৬ জুন বসুন্ধরায় একটি হাসপাতালে রক্সির মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচার হয়। গত সোমবার ১০ জুন রক্সি ছেলে, বাবা আবদুল মান্নান (৫০) ও বোন ফুতু আক্তারকে (১৮) নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় সাবলেট হিসেবে ওঠেন। সেদিন সন্ধ্যায়ই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রক্সির দেবর আহামেদ মোস্তফা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে যায়। কক্ষে এসি চালানো ছিল। বিদ্যুৎ চলে এলে হঠাৎ এসিতে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করেন। তাঁদের প্রথমে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

মুঠোফোনে শিশু আয়ানের চাচা আহমদ মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, আয়ানের মা রুক্সি ও নানা আবদুল মান্নানের অবস্থাও সংকটাপন্ন। চিকিৎসকেরা বলছেন, তাঁর ভাবি রুক্সির ও আবদুল মান্নানের শ্বাসনালিসহ ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।

স্থানীয় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সরওয়ার কামাল বলেন, ঢাকায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার রাত নয়টার মধ্যে দগ্ধ শিশু আয়ান ও তার খালা ফুতু আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।