‘সাজা ভোগ শেষেও কারাগারে’
আলাউদ্দিন আরও তিন মামলায় দণ্ডিত, হাইকোর্টকে জানাল রাষ্ট্রপক্ষ, রিট খারিজ
একটি হত্যা মামলা ছাড়াও শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার মো. আলাউদ্দিন ওরফে কামাল ওরফে নূরে আলম আরও তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তাঁর মোট সাজার পরিমাণ ৭৭ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ টাকা। বরিশাল কারাগারে থাকা আলাউদ্দিন এখন পর্যন্ত ৩০ বছর ৪ মাস ১ দিন সাজা ভোগ করেছেন।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার এই তথ্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। একটি হত্যা মামলায় আলাউদ্দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ শেষেও কারাগারে আছেন—উল্লেখ করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতকে ওই তথ্য জানানো হয়।
আলাউদ্দিনকে বেআইনিভাবে আটক রাখা হয়নি, তা নিশ্চিতে কেন তাঁকে আদালতে হাজির করা হবে না—এ বিষয়ে রুল দেওয়ার আরজিসহ তাঁকে মুক্তি দিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন গত ২৯ মে রিটটি করেন।
রিটের শুনানিতে ১ জুন হাইকোর্ট রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা আছে কি না? তাঁকে ছাড়া হচ্ছে না কেন? এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ৬ জুন জানাতে বলেন আদালত। এর ধারাবাহিকতায় চারটি মামলায় আলাউদ্দিনের সাজা, দণ্ড প্রদানকারী আদালতের নাম ও সাজার তারিখসহ তথ্যাদি আদালতে তুলে ধরে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে রিটটি যথাযথ আকারে না হওয়ায় উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী বিভূতি তরফদার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রেহানা সুলতানা।
রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, একটি হত্যা মামলায় ১৯৯৩ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন আলাউদ্দিন। এই মামলায় ২০০১ সালের ১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে আলাউদ্দিনসহ কয়েকজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হয়। দশ আসামি হাইকোর্টে আপিল করে ২০০৭ সালে খালাস পান। যাবজ্জীবন সাজা ভোগ শেষ হওয়া সত্ত্বেও আলাউদ্দিন কারাগারে আছেন জানতে পেরে রিটটি করা হয়। অবশ্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের তথ্য অনুসারে, মামলার পরোয়ানামূলে ১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল কারাগারে আলাউদ্দিনের আগমন ঘটে।