জিপিএ–৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা আয়োজন সম্পর্কে মতামত জানিয়ে পুরস্কার জিতলেন তাঁরা
টাকাপয়সা কিছুদিন পরই শেষ হয়ে যায়। তবে একটি ক্রেস্ট আজীবন স্মৃতি হয়ে থাকবে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীরা সংবর্ধনা পেয়ে আরও ভালো ফল করতে পরিশ্রমী হয়ে ওঠে। নরসিংদীর কৃতী শিক্ষার্থী মো. শরীফ মিয়া নিজের মতামতে এমন কথাই লিখেছিল। কৃষক বাবার এই সন্তান এখন ঢাকার নটর ডেম কলেজে পড়ে।
আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে ‘জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা’ আয়োজনের ‘মতামত জানাও, পুরস্কার জিতে নাও’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার নিতে এসে নিজের অভিব্যক্তি জানায় শরীফ।
শিখো ও প্রথম আলোর উদ্যোগে সম্প্রতি সারা দেশে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। এ আয়োজন সম্পর্কে মতামত জানিয়ে নির্বাচিত ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। আজ চার শিক্ষার্থী ও এক অভিভাবক উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
নরসিংদীর হাসনাবাদ উচ্চবিদ্যালয় থেকে মো. শরীফ এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। অনুষ্ঠানে শরীফ জানায়, সে নটর ডেম কলেজে ভর্তি হয়েছে। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় সে। বাবা কৃষক। ঢাকায় থেকে পড়াশোনার খরচ অনেক। কিন্তু তার বাবা তাকে চিন্তা করতে মানা করেছেন। বাবার একান্ত ইচ্ছাতেই সে নটর ডেমে ভর্তি হয়েছে।
শরীফ ছাড়া আরও যারা বিজয়ী হয়েছে তারা হলো মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের আবু সুফিয়ান, রাজারগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের শাহ আলম, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সাবিহা আনজুমের মা খুরশিদা, নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তাসমিয়া আক্তার, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের নঈম-আন-নূর ফাহিম, বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটের মিফতাহুল জান্নাত, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের নাভিদুল হক, কাজী আব্দুর রশীদ উচ্চবিদ্যালয়ের মো. আহসান হাবিব ও হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের মো. তানভীর রহমান।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক। তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা অনুষ্ঠানগুলোতে আসুক এবং আনন্দ করুক এটাই চাওয়া। শিক্ষার্থীদের সহায়তায় সুন্দর ও সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান করতে পারার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিজয়ী তাসমিয়া আক্তার মা-বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে পুরস্কার নিতে আসে। তার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁর অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েও উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানে অনুপ্রাণিত হয়ে সে নিজেও এখন জিপিএ-৫ পেতে চায়।
পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার জন্য অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমিন। তিনি বলেন, অভিভাবকেরা প্রথম আলোকে বিশ্বাস করেছেন ও আস্থা রেখেছেন বলেই সন্তানদের নিয়ে এসেছেন।
পুরস্কার হিসেবে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে বই, ফ্রেশের পক্ষ থেকে একটি উপহারের প্যাকেট ও কনকর্ডের পক্ষ থেকে ফ্যান্টাসি কিংডমে রাইডের কুপন দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর হেড অব মার্কেটিং আজওয়াজ খান, ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশনের মহাব্যবস্থাপক অরূপ কুমার ঘোষ প্রমুখ।