নোয়াখালীতে প্রথম আলো ট্রাস্টের নতুন কাপড় পেল আরও ৪৫০ জন
দুই বছরের ছেলে মোস্তাকিমের ভালো কোনো জামাকাপড় নেই। ছেলের জন্য নতুন জামা পেয়ে অনেক খুশি গৃহিণী শিউলী আক্তার (৩২)। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে যাতায়াতের সড়ক ও উঠানে এখনো পানি। বাড়িও অনেক ভেতরে। বন্যার মধ্যে অনেকে চাল-ডাল দিলেও এবারই প্রথম নতুন কাপড় পেয়েছি।’
আজ শনিবার প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে শিউলী আক্তারকে তাঁর ছেলে মোস্তাকিমের জন্য নতুন কাপড় তুলে দেওয়া হয়। শিউলী আক্তারের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের বড় মেহেদীপুর গ্রামে। একই দিনে নোয়াখালীতে বন্যাদুর্গত সাড়ে চার শ মানুষকে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।
নতুন কাপড় বিতরণে সহায়তা করেন প্রথম আলো নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা। এ নিয়ে জেলায় বন্যার্ত ২ হাজার ৫০০ জনকে নতুন কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। বড় মেহেদীপুর গ্রামের কিশোরী নাসরিন আক্তার পড়ে সপ্তম শ্রেণিতে। নতুন জামা পেয়ে সে বলে, ‘প্রায় হাঁটুসমান পানি মাড়িয়ে এখনো বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে হয়। বন্যার পানি ঘরে ওঠায় আগের সব জামাকাপড়ই নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন জামা পেয়ে তাই অনেক খুশি লাগছে।’
একই গ্রামের আবদুল জলিলকে প্রথম আলো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি নতুন পাঞ্জাবি দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অনেকে লজ্জায় কারও কাছে কাপড় চাইতে পারেন না। এই দুঃসময়ে নতুন কাপড় সবার উপকারে আসবে।’