বান্দরবানে ডুবল লামা-আলীকদম সড়ক, যানবাহন চলাচল বন্ধ

টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে আলীকদম রেপারপাড়া। আজ সকালেছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে লামা-আলীকদম সড়কের তিনটি স্থান ডুবে গেছে। ফলে সকাল থেকে লামার সঙ্গে আলীকদমের এবং আলীকদমের সঙ্গে লামা ও চকরিয়া যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি এখনো অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীর পানি আরও বাড়তে পারে বলে দুপুরে আলীকদম ও লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে বান্দরবান-চিম্বুক-থানচি সড়কেও পাহাড়ধস ও নিচু এলাকার সড়ক ডুবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সকালে নীলগিরি এলাকায় পাহাড়ধসে কিছুক্ষণের জন্য যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছিল। বলীপাড়া বাজার এলাকায় একটি সেতু ডুবে গেছে। তবে সেখানে এখনো থানচি ইউএনও মোহাম্মদ মামুন জানিয়েছেন।

লামা ও আলীকদমের লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার থেকে লামা ও আলীকদম উপজেলায় ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলে নদীতে পানি বেড়ে যায়। এতে আজ সকালে লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি, সিলেরতুয়া ও রেপারফাঁড়ি এলাকা ডুবে যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়ায় লোকজন সেখানে নৌকা দিয়ে পারাপার হয়ে যাতায়াত করছেন।

আলীকদমের চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারফাঁড়ি এলাকার নারী ইউপি সদস্য আয়েশা বেগম জানিয়েছেন, রেপারফাঁড়ি ও সিলেরতুয়ার নিচু এলাকায় শুধু সড়ক ডুবে যায়নি, দরিদ্র মানুষের ঘরবাড়িও তলিয়ে গেছে। প্রায় ৫০টি পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বৃষ্টি না কমায় আরও অনেক বাড়িঘর ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আলীকদমের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানি বলেন, সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সকালে তিনি নৌকায় করে লামা পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। টানা ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিতে মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকা ডোবার আশঙ্কায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লামার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও লাবণী আক্তার জানান, লামা পৌর শহরের নিচু এলাকা লাইনঝিরিতে সড়ক ও কিছু ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। এমনিতে লামা নিচু এলাকা হওয়ায় প্রতিবছরের বর্ষায় এর কমবেশি ডুবে যায়। এবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আবারও প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।