প্রথম আলোতে গতকাল শনিবার ‘ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা বেপরোয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ১৯২ জন খুন হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত সময়ে মোট ৬৮টি (সেপ্টেম্বরে ৪১টি ও অক্টোবরে ২৭টি) খুন–সংক্রান্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান আছে। উল্লিখিত সময়ে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন–পরবর্তী মামলা দায়ের বৃদ্ধি পেলেও খুন–সংক্রান্ত অপরাধের তথ্য সঠিক নয়। এ ছাড়া ছিনতাই ও ডাকাতির মামলার যে পরিসংখ্যান উল্লেখ করা হয়েছে তা-ও বিভ্রান্তিকর।
ডিএমপির প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর ভঙ্গুর পুলিশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে জনজীবনে স্বস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে ডিএমপি নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়ানো এবং প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। একটি প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এ রকম প্রতিবেদন কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি কেবল বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নীতিমালার পরিপন্থীই নয়, বরং বিদ্যমান পুলিশি পুনর্গঠন ও সংস্কারের অন্তরায়ও বটে। এ ধরনের প্রতিবেদন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত এবং একজন দায়িত্বশীল সাংবাদিকের নিকট থেকে মোটেই কাম্য নয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনে খুনের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তা ডিএমপির মাসওয়ারি অপরাধ চিত্রের তালিকা থেকে পাওয়া। তালিকায় সেপ্টেম্বরে ১৪৫ ও অক্টোবরে (২৩ তারিখ পর্যন্ত) ৪৭টি খুনের মামলার উল্লেখ ছিল। এসব খুনের ঘটনার ১২৪টিই যে পুরোনো বা জুলাই-আগস্টের, তা ডিএমপির ওই তালিকায় উল্লেখ ছিল না। এই তালিকা ভালোভাবে যাচাই না করে প্রতিবেদনে খুনের ওই সংখ্যা উল্লেখ করাটা আমাদের সঠিক হয়নি। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।