প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর: করের কোটি কোটি টাকা ‘অপব্যয়ের’ আরেক উদাহরণ
গবাদিপশুর খাবার তৈরির সরকারি কারখানাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল প্রায় দুই বছর আগে, ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি। সেদিন তৎকালীন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন, প্রাণীর পুষ্টিকর খাবারের জন্য আর বিদেশনির্ভর হতে হবে না।
সাবেক মন্ত্রী এখন আত্মগোপনে। কারখানাটি চলেছিল ওই এক দিন, যেদিন তিনি উদ্বোধন করেছিলেন। তার পর থেকে বন্ধ। বাণিজ্যিকভাবে কারখানাটি কবে চালু হবে, কোনো দিন চালু হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। যদিও ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে ৩৩ কোটি টাকা।
কারখানাটি ঢাকার সাভারে। নির্মাণ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ব্যয় করা হয়েছে ‘কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম ও ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন (এআইইটি) প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়)’ অধীনে। এই কারখানার জন্য আধুনিক ভবন করা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে, কিন্তু কারখানা চালানোর জন্য কোনো শ্রমিক, কারিগরি কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। প্রকল্পেও কর্মী নিয়োগের কোনো প্রস্তাব ছিল না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে, কারখানাটি পড়ে আছে।
শুধু এই কারখানা নয়, একই প্রকল্পের অধীনে তৈরি দুটি পূর্ণাঙ্গ ও পাঁচটি ছোট (মিনি) আকারের পরীক্ষাগার বা ল্যাবরেটরিও নির্মাণের পর ফেলে রাখা হয়েছে। কারণ, সেখানেও জনবল নিয়োগ করা হয়নি।
জনগণের অর্থের ‘অপব্যয়ের’ এখানেই শেষ নয়। গবাদিপশুর ভ্রূণ স্থানান্তরের নামে ২১ বছরে তিন দফা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো হয়েছে, যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে, কিন্তু ভ্রূণ আর স্থানান্তর হয়নি। তৃতীয় পর্যায়ের শেষ দিকে ভ্রূণ স্থানান্তরের বিষয়টিই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়। কথা ছিল, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত জাতের গরুর ভ্রূণ স্থানান্তর ও দেশের খামার পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে গরুর মাংস ও দুধের উৎপাদন বাড়বে। দাম সহনীয় থাকবে।
তিন দফার প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫৮৩ কোটি টাকা। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের জুন সময়ে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ব্যয় করা হয়েছে ৪৩৩ কোটি টাকা। তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কোনো সুফল এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো টাকা জনগণকে কর হিসেবে দিতে হয়েছে। উল্টো গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, যা এখন ৭০০-৭৮০ টাকা। দুধের লিটার ছাড়িয়েছে ৯০ টাকা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কারখানা ও পরীক্ষাগারগুলো নিয়ে কী ভাবছে, তা জানতে ১৭ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের কাছে গেলে তিনি প্রকল্পটির সর্বশেষ পরিচালক জসিম উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গত জুনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে পুরো প্রকল্প হস্তান্তর করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এগুলো চালু করবেন। প্রকল্প হস্তান্তরের পর পরিচালকের আর কোনো কাজ নেই।
তিন দফার প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৫৮৩ কোটি টাকা। ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের জুন সময়ে বাস্তবায়ন করা প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ব্যয় করা হয়েছে ৪৩৩ কোটি টাকা। তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের কোনো সুফল এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো টাকা জনগণকে কর হিসেবে দিতে হয়েছে। উল্টো গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ, যা এখন ৭০০-৭৮০ টাকা। দুধের লিটার ছাড়িয়েছে ৯০ টাকা।
কারখানা তালাবদ্ধ, নিরাপত্তাকর্মীও নেই
সাভারে গবাদিপশুর জন্য পুষ্টিকর খাবার তৈরির জন্য যে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে, প্রকল্পে সেটির নাম টিএমআর (টোটাল মিক্সড রেশন) প্রদর্শনী প্ল্যান্ট। দেশে বেসরকারি খাতে অনেকগুলো গবাদিপশুর খাবার তৈরির কারখানা রয়েছে। তারপরও সরকারিভাবে কারখানাটি করা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে কারখানাটি নির্মাণ শুরু হয়। ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি এটি উদ্বোধন করতে এক দিনের জন্য বাইরে থেকে জনবল আনা হয়। ১৫ ডিসেম্বর কারখানাটিতে গিয়ে দেখা যায়, মূল ফটক খোলা। কোনো নিরাপত্তাকর্মী নেই। কারখানা ভবন তালাবদ্ধ। এক ঘণ্টা অবস্থান করেও সেখানে কাউকে দেখা গেল না।
২০২৩ সালে কারখানাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক এমদাদুল হক তালুকদার। তিনি এখন অবসরে। তাঁর দুটি মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
এআইইটি প্রকল্পের সর্বশেষ পরিচালক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছেন, তখন প্রকল্পের অবকাঠামোগত কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হয়ে গিয়েছিল। তিনি শুধু ভবনগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এখন এগুলো চালু করতে না পারার মূল কারণ জনবল না থাকা। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর এখন এগুলো আর চালু করা যাচ্ছে না।
এআইইটি প্রকল্পের প্রথম পরিচালক (২০১৬ ও ২০১৭) ছিলেন বেলাল হোসেন। তিনি ২০১৯ সালে অবসরে যান। তাঁর ভাষ্য, তিনি যখন পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন, তখন অবকাঠামোগত কাজ শুরু করা হয়েছিল। পরে যাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁরা প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করেননি। তাঁর ধারণা, এই প্রকল্পে লুটপাট হয়েছে।
বেলাল হোসেনের দাবি, কারখানা ও পরীক্ষাগারে রাজস্ব খাত থেকে নিয়োগ দেওয়ার কথা। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা করেননি। ফলে প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয়নি।
অবশ্য প্রকল্পটির সর্বশেষ পরিচালক জসিম উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, প্রকল্প নেওয়ার সময় বিশেষজ্ঞ জনবলের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। ফলে কারখানা স্থাপনের পর সেটি চালু করা যায়নি। তবে উদ্বোধনের দিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনবল এনে কারখানা চালু করে দেখানো হয়। যে কারখানা চালানো হবে না, সেটির উদ্বোধন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে তাঁর করার কিছু নেই। অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সেটি উদ্বোধন করেছে।
ওই সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন নাহিদ রশীদ। তিনি এখন অবসরে রয়েছেন। তাঁর মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদিকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন শ ম রেজাউল করিম।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দাবি, কারখানাটি সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে গো-প্রজনন খামারের উপপরিচালক খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কারখানাটি দেখাশোনা করতে বলা হয়েছে। সেটির ভবিষ্যৎ কী হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা তাঁর কাছে যায়নি।
৭টি পরীক্ষাগারে ব্যয় হয় ৪১ কোটি টাকা। কথা ছিল, এসব পরীক্ষাগারে উন্নত জাতের গবাদিপশুর বীজ উৎপাদন করে খামারিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
সাতটি পরীক্ষাগার কাজে আসছে না
কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ ও উন্নত জাতের বীজ উৎপাদনের জন্য এআইইটি প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের অধীনে দুটি পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে। ‘মিনি’ পরীক্ষাগার তৈরি হয়েছে রংপুর, বগুড়া, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে। ৭টি পরীক্ষাগারে ব্যয় হয় ৪১ কোটি টাকা। কথা ছিল, এসব পরীক্ষাগারে উন্নত জাতের গবাদিপশুর বীজ উৎপাদন করে খামারিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
ওই সব জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরীক্ষাগারগুলোতে বিশেষজ্ঞ জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কোথাও কোথাও সব যন্ত্রপাতিও যায়নি। যেমন চট্টগ্রামের পরীক্ষাগারটিতে কারিগরি দক্ষ জনবল নেই। এখনো ১৮ ধরনের যন্ত্র স্থাপন করা বাকি। শুধু ৯টি ষাঁড় নিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে। পরীক্ষাগারটির ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নাবিল ফারাবি প্রথম আলোকে বলেন, আউটসোর্সিংয়ের (অস্থায়ী) মাধ্যমে ১১ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ভেটেরিনারি সার্জনের মতো পদে নিয়োগ বাকি।
বগুড়ার পরীক্ষাগারটি ২০ মাস আগে উদ্বোধন করা হয়েছে। বগুড়া জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও পরীক্ষাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিশাত জাহান প্রথম আলোকে বলেন, এখনো যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়নি।
টাকা খরচ হচ্ছে, সুফল কম
এআইইটি প্রকল্পের প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছিল ২০০২-০৩ অর্থবছরে। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় পর্যায় ও ২০১৬ সালে তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্প নেওয়া হয়। তিন পর্যায়ের ৫৮৩ কোটি টাকার পুরোটাই ব্যয় হয়েছে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ ও ভ্রূণ স্থানান্তর সুবিধা তৈরির জন্য। দ্বিতীয় পর্যায়ে সাভারে একটি ভ্রূণ স্থানান্তর পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। সেটিও পড়ে আছে।
সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, ভ্রূণ স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মানসম্পন্ন বিজ্ঞানী নেই। ফলে তৃতীয় পর্যায়ের শেষ দিকে ভ্রূণ স্থানান্তরের বিষয়টি প্রকল্প থেকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যখন সক্ষমতা অর্জিত হবে, তখন ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। নতুন আরেকটি প্রকল্প পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে।
বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ভ্রূণ স্থানান্তর করতে না পারলেও বেসরকারি পর্যায়ে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাছরীন সুলতানা জুয়েনা প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালে সাড়ে চার কোটি খরচ করে একটি প্রকল্পে সফলভাবে ১৭টি ভ্রূণ স্থানান্তর করা হয়েছিল। এমনকি ভ্রূণ থেকে যে বাচ্চা হয়েছে, সেই বাচ্চাও মা হওয়ার নজির আছে। চলতি বছরে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৩২টি ভ্রূণ স্থানান্তর করে বাচ্চা উৎপাদন করেছে।
এআইইটি প্রকল্পের অধীনে সাড়ে চার হাজার মাঠপর্যায়ের কর্মী তৈরি করা হয়েছে, যাঁরা কৃষক পর্যায়ে উন্নত প্রজাতির বীজ সরবরাহের কাজ করে থাকেন। এই কাজে তাঁরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে কমিশন পান। অথচ কৃত্রিম প্রজননের মূল কার্যক্রম হয় পরীক্ষাগারে। এসব পরীক্ষাগারের কার্যক্রম চালুর বিষয়ে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আগ্রহ ছিল কম। তাঁরা নজর দিয়েছিলেন অবকাঠামো তৈরি ও প্রশিক্ষণের নামে অর্থ ব্যয়ে।
‘সবাইকে জবাবদিহিতে আনা উচিত’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা দেশের নানা জায়গায় ভবন ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করেছে। কিন্তু সেই সব স্থাপনা চালু ও মানুষের পুরো সুফল নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার সামনে এল প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কারখানা ও পরীক্ষাগারের কথা।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতিবিষয়ক শ্বেতপত্র কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবারিত দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতার অপপ্রয়োগের মাধ্যমে দেড় দশক ধরে বাংলাদেশে একটি ‘চোরতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে দেশ থেকে ২৩৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে।
জনস্বার্থের নামে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া নেওয়া এ ধরনের প্রকল্প ‘শ্বেতহস্তী’ শ্রেণির বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে কিছু বিশেষ ব্যক্তির সুবিধা হয়েছে, জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত বলেও মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে চট্টগ্রাম অফিস, নিজস্ব প্রতিবেদক, ফরিদপুর, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও বগুড়া এবং প্রতিনিধি, সিলেট]