নোয়াখালীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালন

নোয়াখালীতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। আজ বিকেল সাড়ে তিনটায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর মোহাম্মদীয়া মোড় এলাকায়ছবি প্রথম আলো

তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে নোয়াখালীতে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ (আমাদের নায়কদের স্মরণ) কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে তিনটা থেকে শিক্ষার্থীরা নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর মোহামদিয়া মোড় এলাকায় অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি চলছিল। কর্মসূচি চলার সময় শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের মোহাম্মদীয়া মোড় এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, চৌমুহনী সরকারি এস এ কলেজ, নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেপ্তার, মামলা, গুম-খুন ও শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদ, জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্ত করে বিচার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তাঁরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁরা জানান, তাঁদের দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নতুন নতুন আরও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে শহরের প্রধান সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি দেখে অধিকাংশ যানবাহন আশপাশের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে। অপর দিকে পুলিশের একাধিক দলকে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির স্থলের আশপাশে সতর্ক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, কর্মসূচি স্থলে আসার পথে শহরের সোনাপুর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন এলাকায় শিক্ষার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। ফলে এ বিষয়ে তাঁদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।