পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যায় দুবাইয়ের সোনা ব্যবসায়ী আরাভসহ আটজনের যাবজ্জীবন

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খানফাইল ছবি

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আজিজুল হক দিদার।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান, রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া, রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) ও সারোয়ার হোসেন (২৩)।

রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান
ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

আসামিদের মধ্যে রবিউল ও তাঁর স্ত্রী পলাতক। অন্যরা কারাগারে আছেন। রবিউল ওরফে আরাভ হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি প্রথমে ভারতে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট নিয়ে দুবাইয়ে যান। তিনি সেখানে এখন একজন বড় সোনা ব্যবসায়ী।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই বন্ধু রহমত উল্লাহর সঙ্গে রাজধানীর বনানীর এক বাসায় গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন। পরদিন গাজীপুরের জঙ্গল থেকে তাঁর আধা পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় মামুনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার অন্যতম আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। তিনি হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।