টিভির বিস্ফোরণ এড়াতে করণীয়


টেলিভিশন যেমন আমাদের মনের বিনোদন দেয়, তেমনি সুযোগ দেয় দেশ-বিদেশের খবর জানা ও দেখার। প্রিয় দলের খেলা দেখে উল্লাস করার সুযোগের সঙ্গে সঙ্গে মাঝেমধ্যে বিড়ম্বনায়ও ফেলে এ যন্ত্রটি। হুটহাট নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা যায় টেলিভিশনে। তখন শরণাপন্ন হতে হয় মেরামতকারীর। এতে টাকা খরচ হওয়ার পাশাপাশি অপচয় হয় সময়েরও। তাই টেলিভিশন ব্যবহারে একটু সচেতন হলেই বাড়তি ঝামেলা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া সম্ভব। তাতে ভালো থাকবে আপনার টিভি। শান্তিতে থাকবেন আপনিও।

এ ব্যাপারে কথা হয় ওয়ালটন টেলিভিশনের ব্র্যান্ড ম্যানেজার খন্দকার আশিকুল হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ওয়ালটনের রয়েছে সর্ববৃহৎ টেলিভিশন আরঅ্যান্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরন্তর গবেষণায় টেলিভিশনশিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুফল ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। টিভির গুণগত মানের শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে শতভাগ আত্মবিশ্বাসী ওয়ালটন।’
বজ্রপাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে ওয়ালটন টিভিতে সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে খন্দকার আশিকুল হাসান বলেন, ‘ওয়ালটন বজ্রপাত বা বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে টিভির সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেয়। আমরা এ জন্য ওয়ালটন টিভিতে দুটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি।’

টেলিভিশন অনিরাপদ হওয়ার পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভালো ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সুইচ ব্যবহার না করা, আর্থিং না থাকা, বাড়িতে বিদ্যুতের ভালো ওয়্যারিং-ব্যবস্থা না থাকা এবং টিভিতে হাই ভোল্টেজ প্রোটেকশন না থাকা।

টেলিভিশনের প্রচলিত সমস্যাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ‘বিস্ফোরণ’। টেলিভিশন বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। বিভিন্ন টিভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিম্নমানের উপকরণ ও যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি টেলিভিশন সেট বিভিন্ন কারণে বিস্ফোরিত হতে পারে। অনেক সময় হাই ভোল্টেজ, ত্রুটিযুক্ত বিদ্যুৎ লাইন ও ওয়্যারিং, নিম্নমানের ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ ইত্যাদি হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ। বিদেশ থেকে আমদানি করা নিম্নমানের টেলিভিশন এবং দেশে তৈরি নকল ও নন ব্র্যান্ডের টেলিভিশন ব্যবহার বন্ধ করে অনাকাঙ্ক্ষিত এসব দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় শর্ট সার্কিটের কারণে বাড়িতে আগুন লেগে সেই আগুনে টেলিভিশন সেট বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

নতুন প্রযুক্তির টেলিভিশনে এ ধরনের ঘটনা কম হয় বলে জানায় প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে টেলিভিশন তৈরি হয়। তাই দামি কোম্পানির টিভিতে বিস্ফোরণ হওয়া বা বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার আশঙ্কা কম। পুরোনো টেলিভিশনে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নতুন প্রযুক্তির টেলিভিশনগুলো কম ভোল্টেজে চলে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও নেই বললেই চলে।

টেলিভিশন অনিরাপদ হওয়ার পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভালো ইলেকট্রিক সামগ্রী ও সুইচ ব্যবহার না করা, আর্থিং না থাকা, বাড়িতে বিদ্যুতের ভালো ওয়্যারিং-ব্যবস্থা না থাকা এবং টিভিতে হাই ভোল্টেজ প্রোটেকশন না থাকা।

ওয়ালটন টেলিভিশনের ব্র্যান্ড ম্যানেজার খন্দকার আশিকুল হাসান বলেন, ‘ভোল্টেজ ফ্ল্যাকচুয়েশন বা ওভারলোড, মরিচা পড়া, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট ইত্যাদি কারণে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আগুন ধরতে পারে। এ ধরনের অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে বিশ্বে প্রথম টেলিভিশনের মাদারবোর্ডে ই-বাল্ব মিনি ফায়ার এক্সটিংগুইশার সংযোজন করেছে ওয়ালটন। “ই-বাল্ব” হলো একটি অগ্নিনির্বাপক ফিউজ এবং এতে অ-বিষাক্ত নির্বাপক এজেন্টে ভরা একটি প্রলেপযুক্ত কাচের অ্যাম্পুল থাকে। এটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে আগুন ধরলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা শনাক্ত করে নিভিয়ে দেয় এবং পাওয়ার সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়। ওয়ালটন টিভির মাদারবোর্ডে এই প্রযুক্তি থাকায় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটবে না।’