আরও ৮৫০টি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ

রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের অনুমোদনহীন ঢাকা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অভিযান চালান। গত সোমবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮৫০টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দিয়েছে। অধিদপ্তর বলেছে, এখন থেকে সাইনবোর্ডে প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নম্বর ও নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় গত ২৯ আগস্ট। এর পর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৮৫০টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে রাজধানীর আছে ২০টি প্রতিষ্ঠান।

সর্বশেষ চার দিনে সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে মোট ১৯৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে খুলনা বিভাগে। এর সংখ্যা ১৮৬। সিলেট বিভাগে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে ১৭টি। এই বিভাগেই সবচেয়ে কম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারা দেশের অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ২৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন মাসে তারা ১ হাজার ৬৪১টি অবৈধ বেসরকারি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, রোগনির্ণয় কেন্দ্র ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয়। ওই দিন বলা হয়, আরও চার দিন অভিযান চলবে।

এদিকে ১ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দপ্তরে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংকের সাইনবোর্ডে নিবন্ধন নম্বর এবং নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ না থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহমেদুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতারণা বন্ধে আমরা নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান ও সাইনবোর্ডে লাইসেন্স নম্বর লেখা বাধ্যতামূলক করা সেই উদ্যোগেরই অংশ।’