চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারিতে কমেছে, খুচরায় প্রভাব নেই

চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ
ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। গতকাল সোমবারের তুলনায় আজ মঙ্গলবার প্রতি কেজি মরিচে দাম কমেছে অন্তত ৩০ টাকা। চট্টগ্রামে সবজির বৃহত্তর পাইকারি আড়ত রিয়াজউদ্দিন বাজারে গতকাল সোমবার কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। তবে আজ মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকায়।

তবে পাইকারিতে দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই। আজ মঙ্গলবার নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, চন্দনপুরা ও আশপাশের খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়, যা গত বৃহস্পতিবার ছিল ১৮০ টাকার আশপাশে।

নগরের বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ সবজি বিক্রেতারা রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা ব্যবদসায়ীদের কাছ থেকে মরিচ কেনেন, আড়ত থেকে নয়। যে দামে কেনেন, তার সঙ্গে পরিবহন ও শ্রমিকের মজুরি খরচ মিলিয়ে খুচরায় বিক্রি হয়।  

জানা গেছে, আজ বাজারে দেশীয় ও আমদানি করা মরিচ নিয়ে বাজারে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫ টন কাঁচা মরিচ এসেছে। সোমবার এসেছিল ১০ টনের মতো। তবে সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কম বলে দাবি আড়তদারদের।

দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদনের মৌসুম এখন নয়। সাধারণত নভেম্বর থেকে জুলাই মাসে দেশে উৎপাদিত কাঁচা মরিচে চাহিদা মিটে যায়। সরকারের অনুমতি ছাড়া কাঁচা মরিচ আমদানি করা যায় না। গত ঈদুল আজহার আগে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেলে সরকার ২৫ জুন আমদানির অনুমতি দেয়।

তবে গত মাসে পর্যাপ্ত মরিচ সরবরাহ হয়নি বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা। তাঁদের দাবি, বর্ষা ও খরায় মরিচের গাছ নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকদের খরচ, পরিবহন ও মজুরি খরচ বেড়ে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে। ভারত থেকে আমদানি করতেও ঋণপত্র (এলসি) জটিলতায় আমদানি পর্যাপ্ত হচ্ছে না। ডলারে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবও পড়েছে বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা।

রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, বাজারে বর্তমানে বগুড়া ও কুষ্টিয়া থেকে কিছু দেশীয় মরিচ আসছে। ভারতীয় মরিচের সরবরাহও কম। সরবরাহ বাড়তে থাকতে দাম আরও কমে যাবে।