বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মালয়েশিয়ার নাগরিক এক শিক্ষার্থী এই অভিযোগ করেন। প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ওই শিক্ষার্থী গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে মালয়েশীয় হাইকমিশনকে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিকার চান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী পুলিশের ময়মনসিংহ সদর থানায়ও একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হারুন–আর–রশিদ। উপাচার্যের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে অধ্যাপক হারুন–আর–রশিদের বাসার উল্টো দিকের ফ্ল্যাটে তিনি থাকতেন। ওই শিক্ষক তাঁর বাসায় জোর করে প্রবেশ করে যৌন নির্যাতন করেন। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে তিনি ভয়ভীতি দেখান। ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে আটকে রাখেন।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালি দলের’ নির্বাচিত সভাপতি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফজলুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন ড. মাহবুব আলম, ড. মনির হোসেন, ড. মিনারা খাতুন, ড. শহিদুল আলম ও ড. আবদুল্লাহ ইকবাল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক হারুন–অর–রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দেবে, তার জন্য আমি অপেক্ষা করছি। এ বিষয়ে আমার আপাতত কিছু বলার নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার নাগরিক ওই শিক্ষার্থী গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি মালয়েশিয়ায় এরই মধ্যে পৌঁছেছেন বলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।