চট্টগ্রামে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ, দুই ঘণ্টা বাস চলাচল বন্ধ
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো, অনিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন পরিবহন শ্রমিক–মালিকেরা। আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী, কক্সবাজার ও বান্দরবানগামী বাস বন্ধ রাখা হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উত্তর পারে বশিরুজ্জামান চত্বর এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচির আয়োজন করে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
সমাবেশে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী বলেন, নিয়মের তোয়াক্কা না করে কক্সবাজার সড়কে প্রতিনিয়ত দ্বিতল বাস চলাচল করছে।
এ সময় পরিবহন নেতারা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচল করছে। কক্সবাজার সড়কের প্রশস্ততা কম। কোনো কোনো স্থানে ১৮ ফুটের মতো। কিন্তু এ সড়কে দ্বিতল স্লিপার কোচ নিয়মিত যাতায়াত করছে। ফলে কিছুটা ছোট আকারের বাস চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনুমোদনহীন দ্বিতল বাস চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। দাবি না মানলে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক কফিল উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল, কক্সবাজার, বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা, চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব অলি আহামদ প্রমুখ।
দুর্ভোগে যাত্রীরা
বাস চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কক্সবাজারের সুগন্ধা এলাকার বাসিন্দা মুন্নি বেগম দুই দিন আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার সময় আজ সকাল ১০টায় শাহ আমানত সেতু এলাকায় আসেন তিনি।
বেলা ১১টার দিকে মুন্নি বেগম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর অসুস্থ শরীর। কিন্তু বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কলকাতার বেহালা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরতে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মলয় হালদার। তাঁকেও পাওয়া গেল শাহ আমানত সেতু এলাকায়। কক্সবাজারে যাবেন ঘুরতে তাঁরা।
মলয় হালদার প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন কাউন্টারে বলা হয়েছে দুপুরের পর বাস ছাড়বে।
শুধু এই যাত্রীরা নন, শাহ আমানত সেতু চত্বরে বাসের জন্য অর্ধশতাধিক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তাঁদের কেউ যাচ্ছিলেন কক্সবাজার, কেউ পটিয়া, কেউ বাঁশখালীতে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।