আত্রাইয়ে ভোটে হেরে দুই কুলই হারালেন একরামুল
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন যুবদল নেতা একরামুল বারী (রঞ্জু)। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এবার ভোটে হেরে জামানতের টাকাও হারাচ্ছেন তিনি।
দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, একে তো দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে পদ হারালেন একরামুল, এখন আবার নির্বাচনেও হেরে গেলেন। এর মাধ্যমে দুই কুলই হারালেন তিনি।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপি। তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক একরামুল বারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত ১৫ মে সাংগঠনিক সব পদ ও সাধারণ সদস্যপদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার নওগাঁর আত্রাই ও রানীনগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। আত্রাইয়ে চেয়ারম্যান পদে ২১ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবাদুর রহমান প্রামাণিক। আর বহিষ্কৃত যুবদল নেতা একরামুল বারী পেয়েছেন ৯ হাজার ২১৯ ভোট।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোটের মাঠে পুরো সময়ে উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীই একরামুল বারীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেননি। এ কারণে তিনি তেমন সুবিধা করতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে একরামুল বারীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আত্রাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দলের কড়া নির্দেশ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কোনো পদে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হওয়া বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। এ কারণে একরামুল বারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর সঙ্গে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কেউ ছিলেন না।’