তপন বাগচীর কাজ নিয়ে ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা

বাংলা একাডেমির ফোকলোর, জাদুঘর ও মহাফেজখানা বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) তপন বাগচী সম্পাদিত একটি বই নিয়ে মিথ্যাচার হয়েছে জানিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাওয়া ১৮ ফেলো।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘তপন বাগচীর একটি সম্পাদনাকর্ম নিয়ে দুই ব্যক্তি সংবাদ সম্মেলনে ও সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যাচার করে চলছেন। তাঁরা তপন বাগচীর নামে অপপ্রচার করে এ বছর ঘোষিত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। এসব দেখে আমরা বিস্মিত ও হতবাক।’

বিবৃতিতে ফেলোরা বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, তপন বাগচী সম্পাদিত “মাতাল রাজ্জাক গীতিমালা” গ্রন্থের সঙ্গে পূর্ববর্তী সম্পাদিত গ্রন্থের মিল নেই। প্রচ্ছদ, ভূমিকা, সূচিপত্র ও গানের বিন্যাস ও আলোকচিত্রও আলাদা। মাতাল রাজ্জাকের ছেলে শিল্পী কাজল দেওয়ান এবং মমতাজের ভূমিকাও সাড়া দেয় যে এটি স্বতন্ত্র সংকলন। এই খণ্ডের স্বত্বও রয়েছে মাতাল রাজ্জাকের পরিবারের হাতে। তপন বাগচী একটি গানও নিজের বলে দাবি করেননি। তাই এই সংকলন নিয়ে চুরির অভিযোগ হাস্যকর। তপন বাগচীর বিরুদ্ধে ঈর্ষা ও বিদ্বেষপ্রসূত এই যড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিজ্ঞানলেখক ও শিশুসাহিত্যিক তপন চক্রবর্তী; ফোকলোরবিদ ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী; একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক হরিশংকর জলদাস; কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক আবিদ আনোয়ার; রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ; নাট্যকার ও অনুবাদক ও সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবদুস সেলিম; কবি ফারুক মাহমুদ ও বিমল গুহ; নাট্যকার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মলয় ভৌমিক; কবি ও কথাসাহিত্যক ঝর্না রহমান, নাট্যকার ও ফোকলোরবিদ ফরিদ আহমদ দুলাল; কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ; প্রাবন্ধিক ও ফোকলোরবিদ স্বরোচিষ সরকার; শিশুসাহিত্যিক রহীম শাহ; নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ রতন সিদ্দিকী; শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া; শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ এবং কবি ও ফোকলোরবিদ আমিনুর রহমান সুলতান।