ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতি: উদ্ধার ৮ কোটি টাকা মানি প্ল্যান্টের জিম্মায় দিতে নির্দেশ

প্রতীকী ছবি

গাড়ি থেকে ডাকাত দলের ছিনিয়ে নেওয়া ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের সোয়া ১১ কোটি টাকা থেকে উদ্ধার ৮ কোটি টাকা মানি প্ল্যান্ট লিমিটেডের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মানি প্ল্যান্ট লিমিটেড টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠান।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) লিয়াকত আলী।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, গত ৯ মার্চ মিরপুর ডিওএইচএস থেকে সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্টের গাড়িতে করে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের সাভারের ইপিজেড বুথে ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। পথে তুরাগের হরিরামপুরে একদল ডাকাত মাইক্রোবাসে এসে ওই গাড়ির গতিরোধ করে। এরপর গাড়িতে থাকা লোকজনকে চড়-থাপ্পড় ও ঘুষি মেরে টাকাভর্তি চারটি ট্রাংক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মানি প্ল্যান্টের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৩ জন ডাকাত।  

আরও পড়ুন

ডিএমপির অপরাধ বিভাগের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভাষ্য, ডাকাতেরা কালো রঙের যে হাইয়েস মাইক্রোবাসটি ব্যবহার করেছে, সেটি ছিল ভাড়া করা। ডাকাতদের টাকা বহনকারী সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্ট লিংক (প্রাইভেট) লিমিটেডের গাড়ি থেকে চারটি ট্রাংক নামিয়ে নিজেদের মাইক্রোবাসে তোলে। এরপর গাড়িচালককে বেঁধে ডাকাত দলের একজন সদস্য মাইক্রোবাসটি চালায়। এ সময় ট্রাংক থেকে বেশ কিছু টাকা বের করে ডাকাতেরা আলাদা করে ব্যাগে রাখে। এরপর তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ঘোরাঘুরির পর একপর্যায়ে খিলক্ষেতে অভিজাত হোটেল লা মেরিডিয়ানের পাশের রাস্তায় থামে। সেখানে তারা মাইক্রোবাসের চালককে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বাঁধন খোলার সময় চালক চিৎকার দিলে ডাকাতেরা মাইক্রোবাসসহ তিনটি ট্রাংক ফেলে পালিয়ে যায়। পরে মাইক্রোবাসচালক ট্রাংকসহ মাইক্রোবাস চালিয়ে আজিমপুরে তাঁর মালিকের কাছে যান। পরে মালিক ও চালক মাইক্রোবাসটি নিয়ে খিলক্ষেত থানায় যান। তখন মাইক্রোবাসের চালক এসব ঘটনা পুলিশকে জানান।