ঘুমের মধ্যেই নারীকে ছোবল দিল বিষধর সাপ, এরপর যা হলো

নোয়াখালীর হাতিয়ায় সাপের ছোবলে আহত মিনতি রানী দাশ। তাঁকে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগ করা হলে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেন। আজ দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালেছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় এক নারীকে ছোবল দিয়েছে বিষধর সাপ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ায় ওই নারী বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সাপের ছোবলে আহত ওই নারীর নাম মিনতি রানী দাশ। তিনি হাতিয়ার চর কিং ইউনিয়নের উত্তর দোয়ালিয়া গ্রামে গ্রামের বালাবাড়ির বিবেকানন্দ দাশের স্ত্রী। সাপের কামড়ে আহত হওয়ার পর সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় ওই নারীকে। তবে তাঁর অবস্থা শঙ্কাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।

সাপের ছোবলে আহত হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর আজ সোমবার বেলা একটার দিকে স্বজনেরা তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর তাঁকে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) প্রয়োগ করা হলে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে শুরু করেন।

মিনতি রানী দাশকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর দেবর ফলন চন্দ্র মজুমদার। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, গতকাল রাতের খাবার খেয়ে বসতঘরে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন মিনতি রানী। ঘরে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ মিনতি চিৎকার দিয়ে উঠে বলেন, তাঁকে একটি সাপ কামড় দিয়েছে। সাপের ছোবলে বিষের যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে অনেকটা অচেতন হয়ে পড়েন। ছোবল দেওয়া সাপটি তাঁরা দেখেননি বলে জানান ফলন চন্দ্র মজুমদার।

নোয়াখালী জেনারেলের হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার নিরুপম দাশ প্রথম আলোকে বলেন, আর এক-দুই ঘণ্টা পর আনলে ওই নারীকে বাঁচানো যেত না। বিষে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁর শরীর নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছিল। হাসপাতালের ছয়-সাতজন চিকিৎসক তাঁকে সুস্থ করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন। ওই নারী আশঙ্কামুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও এক-দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।