নিরাপদে দুর্গাপূজা নিয়ে এবারও আশঙ্কা পূজা উদ্যাপন পরিষদের
এবারও নিরাপদে দুর্গাপূজা করা যাবে বলে মনে করে না বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন পরিষদের নেতারা।
কাল রোববার শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা নিরঞ্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গাপূজা।
মতবিনিময় সভায় স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘এ বছরও সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ—এ কথা বলা যাবে না। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমরা সচেতন। সর্বোচ্চসংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবস্থা করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি।’
দুর্গাপূজার যে মণ্ডপগুলো মন্দিরের ভেতরে বা সুরক্ষিত জায়গায় না হয়ে অস্থায়ী মণ্ডপ করে পূজা হবে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন জে এল ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেক বেশি সক্রিয়। আমাদের সঙ্গে সভা, এমনকি অন্যান্য বছর যাঁরা সাবধানতা অবলম্বন করেননি, তাঁরাও আমাদের সঙ্গে সভা করছেন। তবে এ ব্যবস্থাপনায় এত মন্দির সুরক্ষা দেওয়া কঠিন।’
জে এল ভৌমিক আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দুই লাখের বেশি আনসার সদস্য লাগবে। এর জন্য বরাদ্দও সরকারকে দিতে হয়। আইন প্রয়োগকারী সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো কঠিন হবে এবং এভাবে রক্ষা করা যাবে না। আমরা প্রতিটি মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করেছি অন্যান্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’
গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দুর্গপূজার উৎসবের বিষয় বাদ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা করতে চান বলে জানান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটা পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই, যা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। পূজা, ঈদ, বড়দিন, বুদ্ধপূর্ণিমা—এসব কেন পুলিশের সুরক্ষায় হবে? তার মানে রাষ্ট্রের দুর্বলতা ও ব্যর্থতা আছে।’
গুজব রটলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া, মণ্ডপে সিসিটিভির ব্যবস্থা করা, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা—দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে এমন ২১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে পূজা উদ্যাপন পরিষদ।