বিশ্লেষণ
দুর্নীতি দমনে কথা হচ্ছে অনেক, কিন্তু অবস্থার হেরফের নেই
দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কথাবার্তা বা কাগজে–কলমেই থেকে যাচ্ছে। সে কারণে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে বলে মনে করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমনে কথা বেশি হলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। সরকার বা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো বিশেষ কোনো পদক্ষেপও দেখা যায় না। যেটুকু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তাতে রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে বিরোধী রাজনীতিকদের লক্ষ্য করে মামলা হচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি কথাবার্তা বা কাগজে–কলমেই থেকে যাচ্ছে। সে কারণে দুর্নীতি বেড়েই চলেছে।
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) দুর্নীতির ধারণা সূচকের যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, তাতে গত ১০ বছরের স্কোর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্কোরের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এই স্কোর ২৪ থেকে ২৬-এর মধ্যে স্থবির হয়ে আছে। যদিও সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এক বা দুই ধাপ ওঠানামা করেছে; কিন্তু স্কোরের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় এটি এক দশকে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার প্রমাণ দিচ্ছে।
সরকার ও দুদকের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমনে নানা পরিকল্পনা নেওয়ার কথা বলা হয়। বিভিন্ন সময় সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেও দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সের কথা তুলে ধরা হয়েছে; কিন্তু এরপরও দুর্নীতি থেমে নেই।
গত রোববার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের সমালোচনার মুখে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানও দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, সারা দেশের সবখানে অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মাত্রা আগের তুলনায় বেড়েছে।
দুর্নীতি যে বেড়ে যাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিকে হতাশাজনক বলে বর্ণনা করছে দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা টিআইবি। যদিও দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হতাশার কিছু নেই। দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ কার্যকর করা হচ্ছে। এতে আমরা আশাবাদী।’
ঠেকানো যাচ্ছে না অর্থ পাচার
দুদক সর্বশেষ যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গত মার্চ মাসে, তাতে বলা হয়েছে অর্থ পাচার মামলার ক্ষেত্রে দুদক আগের মতো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারছে না। মানি লন্ডারিং আইন সংশোধন করে ২৭টি অপরাধকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু একটি অপরাধের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে দুদককে। সেটি হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ ও দুর্নীতির অর্থ পাচার করা হলে, সেই অপরাধের তদন্ত ও ব্যবস্থা নিতে পারবে দুদক। সংস্থাটি অর্থ পাচারের সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা চেয়ে সরকারকে অনুরোধ করেছে। কিন্তু সেই অনুরোধের ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, অর্থ পাচার বন্ধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস বিভাগ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থাকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে এবং এসব সংস্থা সক্রিয় রয়েছে। এত সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার পরও অর্থ পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না; বরং অর্থ পাচারের অভিযোগ বেড়েই চলেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও অর্থ পাচারের অভিযোগ একটি বড় ইস্যু হয়েছে।
অর্থ পাচার বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে—এমন উদাহরণ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কী পরিমাণ অর্থ এই পর্যন্ত পাচার হয়েছে, এর কোনো সঠিক পরিসংখ্যানও সরকারি সংস্থাগুলোর কাছে নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) বিশ্বের ১৪৮টি দেশের অর্থ পাচারের বিষয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ২০১৯ সালে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা পাচার হওয়ার তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর আগের বছরে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছিল সাড়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বাণিজ্যভিত্তিক অর্থ পাচার বেশি হচ্ছে। আর এর পেছনে ক্ষমতার সঙ্গে থাকা ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও আমলাদেরও অনেকে রয়েছেন। এ নিয়ে নানা আলোচনা হলেও রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন। দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অর্থ পাচার বন্ধ হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি।
ইফতেখারুজ্জামানের মতে, আমদানি–রপ্তানির ক্ষেত্রেও বড় অঙ্কের দুর্নীতি হয়। আমদানি–রপ্তানিতে প্রতিবছর ৮০০ কোটি ডলারের মতো পাচার হয়; কিন্তু দুদকের পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অর্থ পাচারের প্রভাবে জাতীয় বাজেটের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হচ্ছে।
আলোচিত অনেক ঘটনায় দুদকের ধীরগতি
গত ১০–১২ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বড় বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আলোচনায় আসার পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুদক অনুসন্ধান বা তদন্তে নামে। কিন্তু তাতেও ধীরগতির অভিযোগ ছিল। ২০১১ সালে হলমার্কসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (হোটেল শেরাটন) শাখা থেকে ঋণের নামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। যা নিয়ে তখন তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর দুদক সক্রিয় হয় এবং মামলা করে।
দুর্নীতির মামলা হওয়ার আট বছর পর গত জুন মাসে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চুর নাম দুদকের অভিযোগপত্রে এসেছে। কিন্তু তিনি দেশে নাকি বিদেশে চলে গেছেন—সে ব্যাপারে দুদক এখনো কিছু বলতে পারছে না। আবদুল হাই চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকটির ঋণ কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম নিয়ে দুদক ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে। তবে মামলায় প্রথমে আবদুল হাইকে আসামি করা হয়নি।
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের জন্য দেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। পিপলস লিজিং ও বিএফআইসিসহ চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলে নিয়ে আইন ভেঙে নামে-বেনামে ঋণ নেন পি কে হালদার। পি কে হালদার দেশ থেকে পালিয়ে যান। গত বছরের মে মাসে পি কে হালদার ও তাঁর আরও পাঁচ সহযোগী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার হন। যদিও দুদকের কর্মকর্তারা বলছেন, দুদক যখন অর্থ লোপাটের অভিযোগের অনুসন্ধান করছিল, সে সময়ই পি কে হালদার পালিয়েছিলেন। তবে দুদকের নজরের বাইরে পি কে হালদার কীভাবে পালিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে তখন ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।
সম্প্রতি এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়াও বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তরের নানা অভিযোগ সংবাদমাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে আগে গুঞ্জন থাকলেও দুদক নিজে থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সংবাদমাধ্যমের খবর আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুদক, বিএফআইইউ ও সিআইডির প্রতি নির্দেশ দেন। পরে এ বিষয়ে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন উচ্চ আদালত।
দুর্নীতির মামলায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া
গত মার্চে প্রকাশিত দুদকের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্ত জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। নিম্ন আদালতে দুদকের ২ হাজার ৯১০টি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। হাইকোর্টের আদেশে ৪১৯টি মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে আছে।
দুর্নীতির মামলা করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ থাকে। সেখানে সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বা বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বেশি হচ্ছে—এমন অভিযোগও রয়েছে।
বিরোধী রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এখন এই অভিযোগও উঠছে।
দুদক অবশ্য রাজনৈতিক চাপের বিষয় স্বীকার করতে রাজি নয়। দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ দাবি করেন, রাজনৈতিক কোনো চাপ নেই। তাঁরা আইন অনুযায়ী তাঁদের মতো করে দুনীতির অভিযোগের অনুসন্ধান-তদন্ত ও মামলা করে থাকেন। এ ছাড়া দুর্নীতির তদন্তে তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে সময় লেগে যায়, সে জন্য দীর্ঘসূত্রতা হয়।
ঘুষ–দুর্নীতি বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে
টিআইবি তিন বছর পর পর যে খানা জরিপ করে থাকে, সর্বশেষ সেই জরিপ গত বছর প্রকাশ করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়, ২০২১ সালে এক বছরে দেশে ঘুষ দেওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৮৩০ কোটি। মোট ১৭টি সেবা খাতে এই ঘুষের টাকা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই হিসাবে প্রতিটি পরিবার গড়ে ঘুষ দিয়েছে ৬ হাজার ৬৩৬ টাকা। এ সময় দেশে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত ছিল পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা।
এটি শুধু সেবা খাতের একটা পরিসংখ্যান। সেবা খাতের এই ঘুষ–দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর জাতীয় বাজেটে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতি হয়। আর সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণে ক্ষতি হয় জাতীয় বাজেটের ৭ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত। সরকারের বড় প্রকল্পসহ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ বেড়েই চলেছে।
দুর্নীতির এমন পরিস্থিতির মধ্যে দুদক মামলা করছে বা যতটুকু ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে রুই–কাতলারা জালের বাইরে থেকে যাচ্ছেন। ছোটখাটো দুর্নীতির পেছনেই ছুটছে দুদক। এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বলা যায়, চুনোপুঁটিদের ক্ষমতার প্রভাব নেই। ফলে ছোটখাটো অভিযোগের ক্ষেত্রেই মামলা বেশি হচ্ছে।
আমলানির্ভরতা
দুদকে এখন আমলানির্ভরতা বেড়েছে। সংস্থাটিতে একজন চেয়ারম্যান ও দুজন কমিশনারসহ তিন সদস্যের কমিশন রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দুদকের নির্বাহী সব কার্যক্রমের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সচিবের ওপর। এ বিষয় কার্যকর করা হয়েছে দুদকের ভেতরে নির্বাহী আদেশ জারি করে। ফলে এখন সচিবের নেতৃত্বে আমলারা নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারছেন।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদকে সচিবের নেতৃত্বে মহাপরিচালক পদে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সবাই আমলা। সরকার তাঁদের নিয়োগ করে থাকে। এতে দুদকে আমলানির্ভরতা বেড়েছে। ফলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের প্রভাব খাটানো সহজ হয়। তিনি মনে করেন, চেয়ারম্যান বা কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রেও সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করে। এরপরও আমলানির্ভরতার কারণে সংস্থাটির কাজে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে
দুদকের কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ মানতে রাজি নন। অন্যদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুদক কাজ করছে। তাদের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই এবং দুর্নীতি দমনে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
যদিও দুদক ও সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার অনেক ফারাক রয়েছে।