সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ডুবেছে শতাধিক গ্রাম
সিলেটের সাত উপজেলায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত শতাধিক গ্রাম। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
দিনভর বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় আজ শনিবার পানি ক্রমশ বেড়েছে। এ অবস্থায় গোয়াইনঘাট উপজেলার মতো আজ কানাইঘাট উপজেলার সিলেট শহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার বন্যাকবলিত সাতটি উপজেলা হচ্ছে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ। এসব উপজেলায় আজ নতুন করে অন্তত শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ৭০টি গ্রামীণ রাস্তায় পানি উঠেছে। শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে যাওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ আছে। প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সাত উপজেলার পাশাপাশি নতুন করে সিলেট সিটি করপোরেশনের উপশহর, তেরোরতন, মাছিমপুর ও ছড়ারপাড় এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুরমা নদীর পানি উপচে নদীর তীরবর্তী আশপাশের এলাকা নিমজ্জিত হয়েছে বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাট, বাইশটিলা, চামাউড়াকান্দি, বাওরকান্দি, নীলগাঁও ও শিমুলকান্দি গ্রাম নতুনভাবে আজ প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী রাস্তাঘাটও ডুবে গেছে।
গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ দিনভর সবচেয়ে বেশি দুর্গত এলাকার মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বেলা দেড়টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শিমুলতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২৫০ পরিবারের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মো. জামাল উদ্দিন।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত আছে। তাই ক্রমশ পানি বাড়ছে। উপজেলা পরিষদ রোড ও খাদ্যগুদাম এলাকা নতুনভাবে আজ প্লাবিত হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, উপজেলায় মোট ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের মধ্যে আজ ১৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আজ বিকেলে লেঙুরা ইউপিতে ৪০০টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।