সাতক্ষীরায় ঝোড়ো বাতাস-বৃষ্টি, ১ জনের মৃত্যু
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় আজ শনিবার সকালে দমকা বাতাসের সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকটি গাছগাছালি উপড়ে পড়া ছাড়া বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে গাবুরা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে বার্ধক্যের কারণে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগরে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে দমকা বাতাস বইতে শুরু করে। এ সময় নদনদীতে ভাটা থাকায় পানি তেমন বাড়েনি। গাবুরার গাইনবাড়ি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আয়না বিবি (৯২) নামের একজন বৃদ্ধার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
আজ ভোররাত চারটার দিকে সাতক্ষীরাজুড়ে প্রচণ্ড দমকা হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকে।
শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, ভোররাত চারটার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে থাকে। ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন। গাবুরা এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর একটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে ঝুঁকি দেখা দিলে রাতেই তা মেরামত করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন সরকার বলেন, গাইনবাড়ি আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল দিবাগত রাত একটার দিকে আয়না বিবি নামের এক বৃদ্ধার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি গাছগাছালি উপড়ে পড়ার খবর পেয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউপির সদস্য জাকির হোসেন জানান, দমকা বাতাস বইছে। উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর হরিশখালী, হিজলা, কোলা, কপোতাক্ষ নদের চাকলা, সুভাদ্রকাটি এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।
আশাশুনি উপজেলার ইউএনও আরিফ রেজা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আজ সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে তিনি নিশ্চিত করেন।