বর্ষায় কেন এই প্রচণ্ড গরম
দুদিন ধরে প্রচণ্ড গরম। বর্ষার আকাশে মেঘ আছে, তবু গরমে টেকা দায়। বর্ষার শুরুটা অবশ্য বৃষ্টিমুখর ছিল। এখন চলছে বৃষ্টি আর রোদের পালাবদলের খেলা। এই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, আবার রোদ উঠছে প্রচণ্ড তাপ নিয়ে। বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকায় আঁচটা খুব বেশি। তবে আজকালের মধ্যে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে পারে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু বেশি সক্রিয়। এ কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টি হলে দেশের উত্তরাঞ্চলে দিন ও রাতের বেলায় তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
গত কয়েক দিন তুলনামূলক কম বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়। গতকাল বুধবার সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল যশোর জেলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আষাঢ় মাসে এমন গরম পড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, এখন বর্ষা চলছে। এর মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে গরম অনুভূত হবে। কারণ, বাতাসে প্রচুর জলীয় বাষ্প থাকে। এই জলীয় বাষ্পের কারণে শরীরে প্রচুর ঘাম হয়। একটু গরম পড়লে ঘাম থাকার কারণে গরমের অনুভূতিটা বেশি হয়। তা ছাড়া এখন দিনের ব্যাপ্তি বেশ দীর্ঘ। দীর্ঘ সময় ধরেই সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পড়ে। এসব কারণে এখন গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
আবদুর রহমান খান বলেন, গরমের দাপট কিছুটা কমবে। আজকালের মধ্যে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টির মাত্রা বাড়বে। ঢাকায় এর প্রভাব কিছুটা পড়বে। তখন গরম কমে যাবে।