ফণী আঘাত হানতে পারে শনিবার সকালে
ঘূর্ণিঝড় ফণী আগামী শনিবার সকালে দেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। আবহাওয়ার অধিদপ্তরের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ কথা বলেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। আজ বুধবার রাত সোয়া আটটায় নিজ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
আজ বিকেল চারটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজ ফণীর সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের জানিয়েছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফণীর এখনকার গতিবেগ এবং পথ যদি ঠিক থাকে, তবে ভারতের ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে আমাদের খুলনা, সাতক্ষীরা ও মোংলায় আঘাত করবে শনিবার সকালে। এটি যশোর হয়ে দিনাজপুর পর্যন্ত প্রবাহিত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ১৯টি উপকূলীয় জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। মন্ত্রণালয়ের বিশেষ রেডিওর পক্ষ থেকে বার্তা যাচ্ছে। সেখান থেকে সাবধান হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাঁদের ফণী আসার বার্তা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, এখন ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়া হয়েছে। কাল বিকেল পাঁচটায় মন্ত্রণালয়ে আবার সভা আছে। যদি ফণী এগোনোর গতিবেগ এমন থাকে, তবে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত পাল্টে ৫, ৬ বা ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়া হবে। এটা দেওয়া হলে স্বেচ্ছাসেবীরা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা লোকজনকে তাদের প্রাণিসম্পদসহ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।