পরিবেশবিধ্বংসী কাজে জড়িত যেকোনো সংসদ সদস্য বা জনপ্রতিনিধিকে পদ থেকে অপসারণ ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আজ শনিবার এইচআরপিবি আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় ওই দাবি ওঠে। সভায় এটিসহ নয়টি দাবি উত্থাপন করে তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।
পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষতি ও আইন অমান্য করার বিষয় তুলে ধরে সভায় বক্তারা আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ ও পরিবেশের ক্ষতি পুনরুদ্ধারে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে অনুরোধ জানান। পরিবেশসংক্রান্ত জনস্বার্থের অসংখ্য মামলায় আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেন বক্তারা।
এইচআরপিবির পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলোতে বলা হয়, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে শক্তিশালী করে ক্যাবিনেটের আওতায় পরিচালনা করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে (প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া) সংশ্লিষ্ট এলাকার কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত দায়বদ্ধ করার আইন করতে হবে; পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা পরিবেশবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তির সুরক্ষা প্রশাসনিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
আরও বলা হয়, পরিবেশের ক্ষতি করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা বা সাজাপ্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ ঘোষণায় আইন প্রণয়ন করতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বাজেট তিন গুণ বৃদ্ধি করে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী অপরিকল্পিত উন্নয়ন এবং ইকোসিস্টেমের ওপর বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে পরিবেশের যে গুরুতর ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, তা পুনরুদ্ধার ছাড়া মানবজাতি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে না। সেই প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধার’ নির্ধারণ যথার্থ।অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশবিধ্বংসী কাজের সঙ্গে এবং রায় বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকেন। এতে প্রশাসন থমকে যায় বলে উল্লেখ করেন মনজিল মোরসেদ।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুবুল ইসলাম, ইমরুল কাওসার, কাজী মাইনুল হাসান, সামিউল আলম ও রিপন বাড়ৈ বক্তব্য দেন।