ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষীণ আশঙ্কা, আর কী হতে পারে নভেম্বরে
চলতি নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে একাধিক লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়েরও আশঙ্কা আছে। যদিও আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা খানিকটা কম।
এ মাসেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। কোথাও কোথাও পড়তে পারে ঘন কুয়াশা।
চলতি মাসের আবহাওয়ার এমন পূর্বাভাস উঠে এসেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া এ মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে। আজ রোববার এ পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেখানে শুধু এ মাসের পূর্বাভাস নয়, গত মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়। সেখানে দেখা গেছে, অক্টোবরে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে সারা দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আর বঙ্গোপসাগরে এ সময় হতে পারে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ প্রথম আলোকে বলেন, মাসের ১৫ দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম। ঝড় হলে এর পরে হতে পারে। তবে সার্বিকভাবে নিম্নচাপটির ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম। তারপরও হবে না, তা বলা যায় না।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। সারা দেশে ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, এ মাসের ১২ তারিখের পর থেকে শীতের আমেজ পাওয়া যেতে পারে।
অক্টোবরে যেমন ছিল আবহাওয়া
গত অক্টোবর মাসে সারা দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ২৯ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রংপুরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে স্বাভাবিক এবং অন্যান্য বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড় দানা ২৪ অক্টোবর সকাল ৬টায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ২৫ অক্টোবর রাত ৩টায় ভারতের উত্তর ওডিশা উপকূল অতিক্রম করে। ১৪ অক্টোবর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেয়। ৪ অক্টোবর এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় চাঁদপুরে ২৫০ মিলিমিটার।