ঢাকাসহ কয়েক জায়গায় দেখা গেল সূর্যের আলো, থাকবে কয়েক দিন
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তরের জেলা থেকে গেল দক্ষিণের বরিশালে। সেই তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। রাজধানীতেও বেড়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও শীতের অনুভূতি কিন্তু কমছে না শিগগিরই।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর আকাশে সূর্যের আলোর দেখা মিলেছিল। কিন্তু সূর্য পরে মেঘে ঢেকে যায়। বেলা ১১টার পর থেকে আবার সূর্যের আলো দেখা গেছে। দেশের মধ্যাঞ্চলের কয়েকটি জায়গায় সূর্যের আলো দেখা গেছে। কয়েক দিন পর সূর্যের আলো দেখা গেছে উত্তর–পূর্বের সিলেট অঞ্চলেও। তবে সবখানেই কিছুটা হলেও কুয়াশা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বরিশালে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীতেও আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। আজ ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এ তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, আজ রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রোদের মুখ দেখা গেছে। ঢাকা ছাড়াও কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও সিলেটের কিছু এলাকায় দেখা মিলেছে সূর্যের আলোর। তবে সবখানেই কিছুটা হলেও কুয়াশা আছে। রাতেও কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের কোনো কোনো এলাকায় টানা ছয় দিন পর্যন্ত কুয়াশা দেখা গেছে। আবুল কালাম মল্লিক বলছিলেন, আজ থেকে নদী অববাহিকায় যে অতি ঘন কুয়াশা ছিল, তা কমে আসবে। দেশের অন্যত্রও কমে আসবে কুয়াশার ব্যাপ্তিকাল ও ঘনত্ব।
আজ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। তবে তাঁর কথা, শীতের অনুভূতি এতে কমবে না। কারণ, সূর্যের আলো এখনো ঠিকমতো পাওয়া যাবে না। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার দেশের কোনো কোনো স্থানে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এরপর শীত আরও বাড়তে পারে।