মঙ্গলবার থেকে শীত বাড়তে পারে

প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

দিনের বেলায় গায়ে সোয়েটার-জ্যাকেট ও শাল চাপানোর শীত কি তবে বিদায় নিয়েছে? ডিসেম্বরের এই শেষ সময়ে সাধারণত দেশজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত নামে। কুয়াশার কারণে এ সময়ে যান চলাচলে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। কিন্তু চার দিন ধরে বিকেলের পর ছাড়া হালকা শীতের অনুভূতিও নেই। ভরা এই শীতের সময়ে দেশের কোথাও শৈত্যপ্রবাহ ছিল না।

এবার শীত নামার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, আগামী মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে শীত বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশা বেড়ে গিয়ে রোদের দাপটও কমে আসতে পারে।

তিন-চার দিন ধরে শীত কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্প শীতের দাপট একটু কমিয়ে দিয়েছে। চার দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা অল্প অল্প করে বেড়েছে। দিনে রোদের দাপটও থাকছে বেশি। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল থেকে সারা দেশের তাপমাত্রা অল্প অল্প করে কমতে পারে। আবারও জেঁকে নামতে পারে শীত। দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শীত বেড়ে যাওয়ার আগে আগামীকাল সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা নামতে পারে। বিশেষ করে নদী–তীরবর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশার পরিমাণ বেড়ে দৃষ্টিসীমা কমে আসতে পারে। মঙ্গলবার থেকে তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলের মতো এলাকাগুলোতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। দুই-তিন দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প আসা কমে যাবে। এতে কয়েক দিনের মধ্যে হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতল বাতাসের প্রবাহ বেড়ে যেতে পারে। এতে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। মাসের শুরু থেকে শুরু হয়ে শৈত্যপ্রবাহ প্রথম সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলতে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রোববার দেশের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ছিল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল টেকনাফে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস; অর্থাৎ প্রায় গ্রীষ্মকালের মতো ছিল তাপমাত্রা।

এদিকে রোদ বেড়ে যাওয়ায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বায়ুর মানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তারপরও রাজধানীর বায়ুর মান অস্বাস্থ্যকর। বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম। শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহর ছিল ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়। তারপরে যথাক্রমে ছিল কাজাখস্তানের বিসকেক, বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারায়েভো ও চীনের চংগিং শহর। এই সব কটি শহরের বায়ুর মান ছিল ঢাকার মতোই অস্বাস্থ্যকর।