ফেনী-চট্টগ্রাম-সিলেটে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা
দেশের পূর্বাঞ্চলের ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেটে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, এসব এলাকার উজানে ভারতীয় অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অনেকটা গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টির মতো। বাংলাদেশের ভেতরে দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলজুড়ে আজ ও আগামীকালের মধ্যে একই ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এতে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
দেশের বন্যা ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক পানির ঢল আসতে পারে। ফলে ওই এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। দেখা দিতে পারে স্বল্পমেয়াদি বন্যা।
এ ব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির কারণে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এসব এলাকায় কয়েক দিনের জন্য বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে পারে। কয়েকটি এলাকায় এক দিনে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ফেনী, মাতামুহুরি, হালদা, সাঙ্গু ও মুহুরি নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে।
অন্যদিকে সিলেট বিভাগে এবং এর উজানে ভারতীয় অংশেও বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন ওই বৃষ্টি চলতে পারে। এর ফলে সিলেটের প্রধান নদী সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, ধলা ও সারিগোয়াইন নদীর পানি দ্রুত বাড়বে। এতে ওই নদী তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল আগামীকাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টি বেশি হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা আছে। এতে এসব এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল বুধবার থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়, ৮৬ মিলিমিটার। আর দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।