তাপমাত্রা কমতে পারে সামান্য
দেশে গত মাসের শেষ দিকেই মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। তবে দেশজুড়ে বৃষ্টি এখনো শুরু হয়নি। বৃষ্টির জন্য আরও দু–তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। দেশের কিছু কিছু স্থানে এর প্রভাবে বৃষ্টিও হচ্ছে। যদিও রাজধানীসহ দেশের বড় অংশজুড়ে বৃষ্টির দেখা নেই বেশ কয়েক দিন হয়। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ওঠেনি এ মাসে। কিন্তু তারপরও প্রচণ্ড গরম। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, এর কারণ বাতাসে অত্যধিক আর্দ্রতা। এতে গরম-গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার দেশের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা আছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে গত ২৬ মে। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। তবে এর পর থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে এ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেওয়া পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে এ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার দেশের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা আছে।
তাপপ্রবাহ কয়েক দিন ধরে চললেও চলতি মাসের তাপমাত্রা গতবারের চেয়ে এখনো কম। গত বছরের (২০২৩) ৭ জুন রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর ১৪ জুন ছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার দেশের তাপমাত্রা সামান্য কমার সম্ভাবনা আছে।আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
দেশে গত মাসের শেষ দিকেই মৌসুমি বায়ুর প্রবেশ ঘটে। তবে দেশজুড়ে বৃষ্টি এখনো শুরু হয়নি। বৃষ্টির জন্য আরও দু–তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে—এমনটাই বলেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ।