অনেকটা ফাঁকা ঢাকাতেও এত দূষণ

বায়ুদূষণফাইল ছবি

আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তার ওপর ঈদের কারণে ঢাকা ছাড়ছে মানুষজন। রাজধানীর রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা। যানবাহন কম, অনেক কলকারখানাও আজ বন্ধ। তবু দূষণ কমেনি এ নগরীর। বিশ্বের ১২৪টি শহরের মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বায়ুদূষণে ষষ্ঠ স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। আজকের সকালে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৬১। এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বিবেচনা করা হয়।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

ঢাকার মাদানি অ্যাভিনিউয়ের বে’জ এজওয়াটার আউটডোরে আজ বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি। আইকিউএয়ারের মানসূচকে সেখানকার গড় বায়ুমান ১৮৯। এরপর আছে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি, সেখানে স্কোর ১৭৪।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

আজ সকালে বায়ুদূষণের শীর্ষে নেপালের কাঠমান্ডু। সেখানকার বায়ুর মান ২১৬।

গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ২৫ দশমিক ৪ গুণ বেশি।