ভাসমান বাড়ি
বারবার ব্যর্থ, তবু ঘুরেফিরে একই চিন্তা
বন্যাপ্রবণ অঞ্চলে ভাসমান বাড়ির চিন্তা আগেও হয়েছে। সুনামগঞ্জে বন্যার্ত একজনকে এমন বাড়ি দেওয়ার পর বিষয়টি আবার সামনে এল।
বন্যাকবলিত অঞ্চলে বানভাসি মানুষের থাকার জন্য ভাসমান বাড়ি নিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক গবেষক, প্রশাসক, প্রকৌশলী, পিএইচডিপ্রত্যাশী দীর্ঘদিন ধরে চিন্তাভাবনা করছেন। সম্প্রতি সুনামগঞ্জের একটি উপজেলায় স্থানীয় প্রশাসন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তিকে ভাসমান ঘর উপহার দেওয়ার পর বিষয়টি আবার সামনে এল। বন্যার্ত মানুষের থাকার ঘর নিয়ে যাঁরা এমন চিন্তাভাবনা করছেন, তাঁরা কি একবারও ভেবে দেখেছেন, এসব মানুষ কী চান। তাঁরা কি এই বাড়ি নির্মাণের খরচ বহন করতে পারবেন? কোথায় থাকতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? জাহাজে এত সুবিধা থাকার পরও নাবিক কেন মাটি খোঁজেন?
সুনামগঞ্জের একটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তির কাছে ১ আগস্ট ভাসমান বাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। বাড়িটিতে দুটি শোয়ার ঘর ও একটি রান্নাঘর আছে। আপাতত টয়লেট ও পয়োনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। টয়লেট ছাড়া বাড়িটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে ইউএনও বলেছেন, টয়লেট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভাসমান বাড়ির ধারণা উপজেলার একজন সাবেক সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বলে দাবি করা হয়েছে। একটি ভাসমান ক্যাফের (হাওর ভিউ ক্যাফে) আদলে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে স্থানীয় মিস্ত্রি ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ১৪ দিনে ভাসমান বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। ইউএনওর কয়েকজন বন্ধু ও উপজেলার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার আর্থিক সহায়তায় বাড়িটি করা হয়।
আশির দশকে মার্কিন সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পের প্রধান হয়ে বাংলাদেশে আসেন এক ব্রিটিশ সমাজকর্মী। খুবই করিতকর্মা। তখনো কম্পিউটার সেভাবে রোশনাই ছড়ায়নি। তিনি যেন কম্পিউটারের চেয়েও ত্বরিতকর্মা ছিলেন। সভা শেষ করে অফিসে ফিরতে না–ফিরতে সভার বিবরণী (মিটিং মিনিটস) আর পরবর্তী করণীয়র তালিকা চলে আসত। আসার আগে তিনি বাংলাদেশে সম্পর্কে ভালোই খোঁজখবর নিয়ে তৈরি হয়ে এসেছিলেন। বাংলাদেশের প্রকৃতি, জেলা–উপজেলার নাম, একাত্তর, বায়ান্ন, ছাপ্পান্ন, সাতচল্লিশ—সবই তাঁর মুখস্থ। মানুষের সমস্যা, সরকারি কর্মকাণ্ড, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, বন্যা–জলোচ্ছ্বাস, মঙ্গা, খরা—সবই তাঁর জানা। নতুন নতুন সব ধারণা তাঁর মাথায় গিজগিজ করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় এ দেশের মানুষের যে সাহস, সেটিকে আরও তেজোদীপ্ত করা ছিল তাঁর প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। বারবার ঘর ডোবে বন্যায়। ঘরগুলো ভাসিয়ে রাখলেই হয়। তখন আমাদের মাথাপিছু আয় এখনকার তুলনায় নস্যি থাকলেও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সাহস ছিল কারও কারও। টাকার গন্ধ পেলেই ‘তা ধিন তা ধিন’ করতেন না সবাই।
জলে ভাসা দেশ হলেও মানুষ মাটি ভালোবাসে, মাটিতে সে একটা ঠিকানা চায়। মাছ ধরতে সে নৌকায় যায়, খায়দায় হয়তো ঘুমায় কখনোসখনো। কিন্তু ভাসমান নৌকায় সে জীবন কাটানোর কথা ভাবতেও পারে না। প্রশ্ন উঠল, বেদেরা যে জীবন কাটায় জলে! তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার। মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, বংশী, তুরাগ চষে ফেলা হলো। ব্যবসায় মন্দা বা বেহাল নদ-নদীর কারণেই হোক, বেদেরা জমি চাইলেন। তাঁরা ডাঙায় ঘর বাঁধতে চান। মূলধারার অংশীজন হতে আগ্রহী তাঁরা। আর নদীভাঙন, বন্যা–বানে অতিষ্ঠ জমিনের মানুষ হাজার কষ্ট হলেও জলে ভাসা বেদের জীবন চান না।
ব্রিটিশ সমাজকর্মীকে জমিনের ঘরের মাজেজা বুঝিয়ে বললেন একজন মুরব্বি। জমিনে করা ঘরের চালটাও একখণ্ড জমিন। লাউ–কুমড়া, শিম, পুঁইশাকসহ নানা সবজি চাষ হয় সেখানে। জলে কি কেউ দাহ করে লাশ, পানিতে কি কবর হয়—এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর ছিল না। বাধ্য মানুষ মান্তা হয়ে এখন দক্ষিণের নদীতে পরিবার নিয়ে নৌকায় থাকে। তাঁরাও জমিনে পুনর্বাসন চান। নদীতে নৌকা থাকুক, সংসার থাকুক জমিনে।
শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন সেই ব্রিটিশ সমাজকর্মী। যাঁরা আকাশ থেকে বাংলাদেশ দেখেছেন, তাঁদের এমন অদ্ভুত হাউস হতে
পারে। কিন্তু বাংলাদেশের জল-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মানুষ দিনের পর দিন উদ্ভট এসব পাইলট প্রকল্প কেন নেন?
ভেদরগঞ্জের মনাই হাওলাদারকান্দি গ্রামের ‘ভাসমান বাড়ি’
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মনাই হাওলাদারকান্দি গ্রাম। সেখানে ২০১৭–১৮ সালের দিকে পদ্মা নদীর তীরে বাঁশ, কাঠ আর ১৮৯টি তেলের খালি প্লাস্টিকের ড্রাম ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটি ভাসমান বাড়ি। প্রায় তিন কাঠা জমি নিয়ে তৈরি এই বাড়িতে ছিল ‘সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা।’ নির্মাতারা দাবি করেছিলেন, এমন বাড়ি পৃথিবীতে আর হয়নি। বন্যা, ঝড়সহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম এমন বাড়ি বিশ্বে এটিই প্রথম। বাংলাদেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কটল্যান্ডের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রায় আড়াই কোটি (২ লাখ ৫০ হাজার ডলার) টাকার এই গবেষণা প্রকল্পের অধীনে একেকটি ভাসমান বাড়ি বানাতে প্রাথমিকভাবে খরচ হয়েছিল ১০ লাখ টাকা। বলা হয়েছিল, এসব বাড়ি টিকবে কমপক্ষে ২৫ বছর।
২০১৯ সালে মনাই হাওলাদারকান্দি গ্রামে গিয়ে তিনটি বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে সেসব বাড়ির কিছু বাঁশ, কাঠ আর পাটাতনের স্তূপ পড়েছিল। এবার চলতি আগস্টে গিয়ে দেখা যায়, সব পরিষ্কার। ওই জায়গায় একসময় যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলেছিল, কেউ না বললে কিছুই বোঝা যাবে না।
২০১৮ সালে সংবাদমাধ্যমে ভাসমান বাড়ির এই উদ্যোগ বেশ প্রচার পেয়েছিল। এক সংবাদকর্মী কাব্যময় বর্ণনায় লিখেছিলেন, ‘পদ্মার তীর ধরে হেঁটে গেলে চোখে পড়বে নদীর বুকে ভেসে থাকা একটি ছোট্ট বাড়ি। সম্পূর্ণ বাঁশ আর কাঠ দিয়ে তৈরি বাড়িটি দেখলে নজর কাড়বে যে কারও। বন্যা, ঝড় আর ভূমিকম্প—এসব দুর্যোগ থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখবে বাড়িটি। শুধু তা–ই নয়, দুর্যোগকালে এই বাড়ি থেকে আয় করে সংসারও চালানো যাবে। আধুনিক সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে বাড়িটির মধ্যে। রান্নাঘর আর গোসলখানাসহ পাঁচটি কক্ষ ছাড়াও আছে একটি ছোট উঠানও।’
উদ্বোধনের সময় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে নিরাপদ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা দেখানো হয়েছিল। দুটি টারবাইনের মাধ্যমে পানি চলে যাচ্ছিল ব্যবহারের স্থানে। নানা ফসলে সবুজ করে রাখা হয়েছিল বাড়ির চারদিক। মুরগি লালন-পালনের জন্য ছিল খামার, বাড়ির মধ্যেই আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ আর বায়োগ্যাস থেকে গ্যাসের চুলায় রান্নার চমক লাগানো ব্যবস্থাও ছিল। সোলারের আলোয় আলোকিত হতো ভাসমান বাড়িগুলো। গ্রামের মানুষের বেড়ানোর একটা জায়গা হয়েছিল। স্থানীয় গ্রামবাসী বাড়িটির নাম দিয়েছেন ‘স্বপ্নের বাড়ি’।
সাহসী প্রবীণ এক কৃষক এই লেখককে বলেছিলেন, ‘শুধু ভাসলেই তো হবে না, মজবুতও হতে হবে। তা ছাড়া এর চেয়ে কম খরচে মাটি ফেলে উঁচু করে আর চারদিকে বাঁধের মতো বানানো যেত! সেটা হতো আরও স্থায়ী ও মজবুত! বছর বছর বাঁশ, কাঠ বদলানোর মতো আয়রোজগার থাকলে মানুষ মাছের জীবন নেবে ক্যান।’
সিরাজগঞ্জে ‘উভচর বাড়ি’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট বন্যার সময় মানুষ যাতে তার নিজের ঘরেই থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ভাবছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘কোর বাংলাদেশ’ গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ‘উভচর বাড়ি ও মেঝে-পুনঃস্থাপিত ঘর’ তৈরির এক অভিনব পদক্ষেপ নেয়। নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠানের উৎসাহে এই গবেষণার সূত্রপাত। ডাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্যায় মানুষকে ঘর হারানোর হাত থেকে বাঁচানোর পথ খোঁজা হয় এই প্রকল্পে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের রানিগ্রামে উভচর বাড়ি ও মেঝে-পুনঃস্থাপিত ঘর দুটি নির্মিত হয়।
উভচর বাড়ি
মাটির ওপর বানানো উভচর বাড়িতে বন্যার পানি ঢুকলে বাড়িটি প্লাবিত না হয়ে পানির ওপরে ভেসে উঠবে। ফেরির পন্টুনের মতো পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটি ভেসে উঠবে, আবার পানি কমলে বাড়িটি মাটির ওপর আসবে। পানির তোড়ে যাতে কাঠামো ভেসে না যায়, সে জন্য নোঙরের ব্যবস্থা করা হয়। মূলত প্লাবতার মূলনীতি অনুসরণ করে উভচর বাড়িটি বানানো হয়। বাড়িটির ভিত্তি এমনভাবে বানানো হয়েছিল, যেন স্বাভাবিক সময়ে এটি মাটির ওপরে বসে থাকে এবং বন্যার পানি এলে পানি বাড়ির নিচে ঢুকে জিনিসপত্র, মানুষজন, গবাদিপশুসহ বাড়িটিকে ভাসিয়ে তোলে।
বাড়িটির ভিত্তি নির্মাণে নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টেরিন (ইপিএস) ব্যবহার করা হয়। তবে মূল বাড়িটি বানানো হয় টিন দিয়ে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও স্থানীয় এনজিও শার্প মাঠপর্যায়ে কাজ করে। উভচর বাড়িটি নির্মাণে কম–বেশি ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়। গবেষকদের খরচপাতি, নেদারল্যান্ডস থেকে যাতায়াতের খরচ এর সঙ্গে অবশ্য যোগ করা হয়নি।
মেঝে-পুনঃস্থাপিত ঘর
মেঝে-পুনঃস্থাপিত ঘরটি এমন—এতে ঘরের মাটির মেঝের ওপরে একটি কাঠের মেঝে বানানো হয়। কাঠের মেঝের নিচে প্লাস্টিকের বোতল ও পাইপ দিয়ে একটি স্তর এমনভাবে বসানো হয়, বন্যার পানি মাটির মেঝের ওপরে উঠে এলে সেই পানিতে বোতল ও পাইপের স্তরসহ কাঠের মেঝেটি ভেসে ওঠে। মুখবন্ধ বোতল ফাঁপা জাহাজের মতো কাজ করে এবং পানির ঊর্ধ্বমুখী শক্তি ঘরের সব জিনিসপত্রসহ মেঝেটিকে ধীরে ধীরে ভাসিয়ে তুলবে। কিন্তু হঠাৎ রাতদুপুরে দ্রুত পানি বাড়লে কী হবে, সেটি কারও চিন্তায় ছিল না। ২০১৮ সালের বন্যায় সে রকম ঘটনা ঘটলে ঘরের চাল খুলে ঘরের মানুষদের উদ্ধার করতে হয়।
দুটি প্রকল্পই এখন পরিত্যক্ত। উভচর বাড়ির মালিক এখন তাঁর জমিটা ফেরত চান। সেখানে তিনি আগের মতো চাষাবাদ করবেন।
সরকারি উদ্যোগ
সরকারি প্রতিষ্ঠান হাউজিং ও বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই) ভাসমান ইমারত বানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের পুকুরে বাড়িটি ভাসতে দেখেছেন অনেকে।
সেই বাড়িতে দুটি জানালা ও একটি দরজা আছে। বালু ও ফেরোসিমেন্টের একধরনের বিশেষ মিশ্রণ দিয়ে এই বাড়ির দেয়াল ও মেঝে তৈরি করা হয়েছে। এতে বাড়ির দেয়াল হয়েছে তাপপ্রতিরোধক। অনেক আগে রমনা পার্কে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভাসমান রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছিল। এইচবিআরআই কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এটি জরুরি মুহূর্তে অন্তত ২০ জনকে আশ্রয় দিতে পারবে। এ ধরনের বাড়ি হাওরাঞ্চল এবং বন্যার সময় নিম্নাঞ্চলে দারুণ কাজে আসতে পারে। খরচের প্রশ্নে কর্তৃপক্ষ বেশ লাজুক আচরণ করে। তারা বলছে, এখনো বেশ খরচ হয়ে যাচ্ছে। তবে তাদের আশা, ‘সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা’ এবং সবার অংশগ্রহণ থাকলে অল্প খরচেই এ ধরনের বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব।
সিলেট অঞ্চলের বন্যা যাঁরা সেখানে থেকে দেখেছেন, তাঁরা জানেন কী প্রবল আর হঠাৎ স্রোত ছিল সে বন্যার। ভাসমান কোনো কিছুই সেখানে ভেসে থাকেনি। সেখানে ভাসমান বাড়ি টিকবে কী করে? আবার মানুষ মাটি থেকে বেশি সময় দূরে থাকতে চায় না। ১০-১৫ লাখ টাকার ভাসমান বাড়ি সে সামলাতে পারবে না। যে পারবে, সে জমিনের ওপর কোটা বাড়ি বানাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এইচবিআরআই আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে বসে একটা দিশা কি দিতে পারে না?
●লেখক গবেষক; [email protected]