চলতি সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

প্রতীকী ছবি

বঙ্গোপসাগরে চলতি সপ্তাহে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শনিবার সকালের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবারের (২২ অক্টোবর) মধ্যে মধ্যবঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আগের সময়টাতে বৃষ্টি কম হবে।

তবে আজ সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপটি এক দিন এগিয়ে মঙ্গলবারের পরিবর্তে সোমবারের (২১ অক্টোবর) দিকে সৃষ্টি হতে পারে, যা বৃহস্পতিবারের (২৪ অক্টোবর) দিকে হয়তো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে এই ঝড়ের গতিপথ পশ্চিমবঙ্গ ওডিশার দিকেই হয়তো থাকবে। পরে গতিপথ পাল্টেও যেতে পারে।

এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, লঘুচাপের কারণে আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাত কমে আসবে। কারণ, লঘুচাপ তৈরির সময় তার কেন্দ্রে গিয়ে সব মেঘ জড়ো হয়। তাই অন্যান্য জায়গায় বৃষ্টিপাত কমে আসে। গরমও তেমন একটা বাড়বে না।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল নয়টার তথ্যমতে, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফেনীতে, ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ডিমলাতে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, অক্টোবর-নভেম্বর—এই দুই মাসে বঙ্গোপসাগরে এক বা একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। এ সময়ের ঘূর্ণিঝড়গুলো বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। বিশেষ করে বাংলাদেশ উপকূল থেকে দূরে যদি কোনো লঘুচাপ ও নিম্নচাপ তৈরি হয়, তা ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করে। এতে উপকূলের দিকে আসতে আসতে তা শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হতে পারে ‘ডানা’। তবে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত আবহাওয়া অধিদপ্তর এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করে না।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।