কর্তৃত্ববাদীর পতন হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী চর্চার পতন হয়নি: ইফতেখারুজ্জামান
এখনো বিভিন্নভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির লবি তৎপর রয়েছে বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, কর্তৃত্ববাদীর পতন হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী চর্চার পতন হয়নি। তাদের তৎপরতাকে বানচাল করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে আজ রোববার এসব কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। ‘ক্লিন এনার্জি: টেকসই ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে এটির আয়োজন করে টিআইবি। এতে আরও বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যে রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠিত হয়েছে, তার অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর লবি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে জীবাশ্ম লবির অর্থে, তাদের নিয়ন্ত্রণে। তারই প্রতিফলন গত ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় দেখা গেছে। রক্তের বিনিময়ে তার পতন ঘটতে দেখেছি।’
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, গত কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় রাষ্ট্রকাঠামো থেকে নীতিকাঠামো জীবাশ্ম জ্বালনি দখল করেছিল। এমন একটা অবস্থা করে রেখে গেছে, জীবন–জীবিকা, প্রকৃতি ও প্রাণবৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলে রেখে গেছে। এখন উত্তরণের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন বাংলাদেশে। যারা বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকাশ দেখতে চায়, তাদের বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। সেখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব আছে; তাই এটি বাতিল করতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পথে সুনির্দিষ্ট মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
বৈশ্বিকভাবে গত বছর আন্তর্জাতিক ক্লিন এনার্জি দিবস পালন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এবারই প্রথম এটি পালন করছে টিআইবি। গত সরকারের করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মহাপরিকল্পনা বাতিলসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয় মানববন্ধনে।
এতে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ফিরে আসতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি হচ্ছে মুক্তির একমাত্র পথ।