যমুনাকে ছোট করতে নেওয়া প্রকল্পের প্রস্তাবসহ নথি দাখিল করতে নির্দেশ
যমুনা নদী ছোট করতে নেওয়া প্রকল্পের প্রস্তাবসহ যাবতীয় নথি দাখিল করতে বলেছেন হাইকোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) এ–সংক্রান্ত নথি আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিটের শুনানিতে আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই নথি দাখিল করতে বলেন। আগামী ১১ জুন শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছেন আদালত।
‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে গত মার্চে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে গত মাসে ওই রিট করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পাউবোর পক্ষে শুনানি করেন প্রতিষ্ঠানটির আইন উপদেষ্টা আইনজীবী অরবিন্দ কুমার রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প নেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার বিধান অনুসারে অসদাচরণ করেছেন। যে কারণে বিধি অনুসারে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই প্রকল্পের প্রস্তাবসহ যাবতীয় নথি ১০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ১১ জুন দিন রেখেছেন আদালত।’
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানিপ্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এ জন্য তাঁরা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয়টি এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।