গবেষণার তথ্য: পানি সংগ্রহের দায়িত্ব ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী ও কিশোরীদের
পানি সংগ্রহের প্রাথমিক দায়িত্ব ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে থাকে নারী ও কিশোরীদের ওপর। আবার পরিবারের স্বাস্থ্য সংরক্ষণের দায়িত্বও প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে তাঁদের ওপরই বর্তায়। দেশের চার সিটি করপোরেশন এবং তিন পৌরসভায় পরিচালিত এক জরিপের ওপর ভিত্তি করে গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয় রাজধানীর একটি হোটেলে। সুইডেনের দূতাবাসের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াটারএইড এ গবেষণা করে। ‘ওয়াশ ফর আরবান পুওর’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গত বছরের শেষে এ গবেষণার কাজ শেষ হয়।
গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ওয়াটারএইডের ব্যবস্থাপক (মনিটরিং, ইভালুয়েশন, রিসার্চ এবং লার্নিং) মো. মাহাদী হাসান। তিনি জানান, চার সিটি এবং তিনটি পৌরসভায় নিম্ন আয়ের ৫৫০টি পরিবার জরিপে অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৩০ নারী ও ২২০ জন পুরুষ ছিলেন।
জরিপে ৯৩ শতাংশ উত্তরদাতা জানান, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় সুবিধাদি তাঁদের বর্তমান টয়লেটে নেই। আর ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, গৃহস্থালির কাজ ও পানি সংগ্রহ করা নারীদের কর্তব্য। মাসিক-কেন্দ্রিক ট্যাবুর কারণে তাঁরা এ বিষয়ে আলোচনাও করতে পারেন না। ৯৬ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা মাসিক বিষয়ে আলাপ করেন না।
পানি সংগ্রহের সময় শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে জানান ১৪ শতাংশ নারী। এ ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে কাউকে জানানো হয়নি। পুরুষেরা ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রধানত পানির উৎস নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও রাখেন। কিন্তু সংগ্রহের কাজটি করেন নারীরা।
গবেষণার বিষয়ে ওয়াটারএইডের বাংলাদেশের প্রধান হাসিন জাহান বলেন, নারীরা যে নানাভাবে প্রান্তিকতার শিকার, গবেষণায় পাওয়া ফলাফলে তা উঠে এসেছে। এটা যেমন পরিবারের ভেতরে এবং বাইরেও। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতরেও নারী প্রতিনিধিরা গুরুত্ব পান না প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে।