কুয়াশা কেটে সূর্যের মুখ কবে দেখা যাবে, যা বলল আবহাওয়া অফিস
কুয়াশায় ঢেকে আছে রাজধানীসহ সারা দেশ। আজ রোববার তিন দিন হয় এই ঘন কুয়াশা। এর সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকাল শনিবারের চেয়ে আরও খানিকটা কমেছে।
শীত এল না, এল না বলে নাগরিক মনঃকষ্ট এবার তীব্র শীতে কষ্টের কারণ হয়ে উঠেছে। সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এটা সত্যিই বেশি কষ্টের। তীব্র ঠান্ডায় নিজেকে বাঁচাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ছে অনেক স্থানে।
দেশের প্রায় সবখানে তাপমাত্রা কমলেও রাজধানীতে কিন্তু গতকালের চেয়ে আজ তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, শীতের এই তীব্রতা আগামীকাল সোমবারও থাকতে পারে। তবে কাল থেকে দেশের কিছু কিছু এলাকায় রোদের মুখ দেখা দিতে পারে। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে কাল দুপুর পর্যন্ত। এক আবহাওয়াবিদ অবশ্য বলেছেন, কাল রাজধানীতেও রোদ উঠতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে ২৪ ঘণ্টায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির আজ প্রথম আলোকে বলেন, কাল তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এর চেয়ে হয়তো কমবে না। তবে আগামী পরশু (মঙ্গলবার) থেকে তাপমাত্রা একটু করে বাড়তে শুরু করবে। আগামী বুধবার থেকে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। বৃষ্টির পর কুয়াশা অনেকটা কেটে যাবে। শীতও কমতে শুরু করতে পারে।
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নিম্নগতি দেখা গেলেও আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিন্তু বেড়েছে। আজ এ নগরীর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রশ্ন হলো, এই যে কুয়াশা ঢেকে আছে চারদিক—এ অবস্থা থেকে রোদের মুখ দেখা যাবে কবে? এ নিয়ে দুই আবহাওয়াবিদের দুই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেছেন, কাল দেশের দুয়েক স্থানে রোদ দেখা দিতে পারে। তবে রাজধানীতে রোদের দেখা কাল না–ও মিলতে পারে। পরশু কিছুটা রোদ উঠতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক মনে করেন, কালই রাজধানীর আকাশে কুয়াশা কাটতে শুরু করতে পারে। দেখা মিলতে পারে সূর্যের।
গতকাল দেশের অন্তত ১১ জেলায় বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেটা আজও চলতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র। তাদের কথা, এ মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।