নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুৎ পেতে নতুন গ্রিড তৈরির তাগিদ মুহাম্মদ ইউনূসের

কপ ২৯ সম্মেলনের অবসরে সামাজিক বিজনেস গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসছবি: বাসস থেকে

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টনের ওপর গুরুত্ব দিতে এক নতুন গ্রিড তৈরির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার বাকুতে তিনি বলেন, সেই গ্রিড দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশ ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে।

সম্মেলনের অবসরে সামাজিক বিজনেস গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে বুধবার মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই চার দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিড না থাকায় হিমালয়ের পাদদেশের দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

ওই আলাপচারিতায় নেপালের প্রতিনিধিরা জানান, তাঁদের দেশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে ৪০ হাজার মেগাওয়াট। এই উৎপাদন ভারত ও বাংলাদেশের জীবাশ্ম জ্বালানির নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। এ সময় ইউনূস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য গ্রিড তৈরির কথা গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশকে। তিনি বলেন, সেই গ্রিড হলে বাংলাদেশ অনায়াসেই নেপাল থেকে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ আনতে পারে। বাংলাদেশ ও নেপালের দূরত্ব কমবেশি ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। গ্রিড হলে নেপালের জলবিদ্যুৎ সহজলভ্য হবে। বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ পায়।

প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, পানি বাংলাদেশের কাছে প্রধান পরিবেশগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সমস্যার নিরসনে পানিব্যবস্থা এমনভাবে করা উচিত, যাতে তা প্রকৃতিবান্ধব হয়। তিনি বলেন, বন্যা রোধে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানিব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।