জুলাই–আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচারকাজ আগামী বিজয় দিবসের আগে সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীতে এক সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আগামী বিজয় দিবসে গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায় সেলিব্রেশনও (উদ্যাপন) করব...আশা করছি।’
সংলাপে একই ধরনের বক্তব্য এসেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছ থেকে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সবার বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করতে পারবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান মনে করেন, ঐক্য ও সংস্কার ছাড়া এই বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করা কঠিন এবং দুরূহ।
‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ নিয়ে দুই দিনের জাতীয় সংলাপের শেষ দিনের প্রথম অধিবেশনের শিরোনাম ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’। এই অধিবেশনে আইন উপদেষ্টা, অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরসহ বিশিষ্টজন অনেকে অংশ নেন। একাডেমিক, বিশ্লেষক ও গবেষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের’ আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তাঁর টানা সাড়ে ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন ও গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ৯৪টি অভিযোগ এসেছে, মামলা হয়েছে একটি। এই মামলায় গুম-খুন এবং গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরেকটি মামলায় ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, শাজাহান খান, দীপু মনিসহ বিগত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ৪৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া গণহত্যার ঘটনায় আরেকটি মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচার এক বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা নিয়ে সরকারের দিক থেকে আসা বক্তব্যের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাহী বিভাগ থেকে এ ধরনের কিছু বলা হলে বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকে। এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা ২১ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপের খসড়া তালিকায় শহীদ ৮৫৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৫১ জন। গণ-অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেল সূত্র গতকাল রাতে প্রথম আলোকে জানায়, সর্বশেষ খসড়া তালিকায় শহীদ ৮২৮ জন এবং আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ২৭০। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। এর আগের খসড়ায় কিছু ক্ষেত্রে একই নাম একাধিকবার এসেছিল। সেগুলো যাচাই হয়েছে।
গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে
বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিন বিষয় অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব বলে সংলাপে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে কমপক্ষে চারটি বড় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো হলো জুলাই–আগস্ট হত্যাকাণ্ড, বিডিআর হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড এবং ধারাবাহিক গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এই চার হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করতে গিয়ে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে বলেও জানান অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের দাবি নিয়েই মানুষ আসছে। কেউ পদোন্নতিবঞ্চিত, বেতনবঞ্চিত, কাউকে খারাপ জায়গায় বদলি করা হয়েছে, কারও বেতন বাড়াতে হবে, কাউকে রাজস্ব খাতে নিতে হবে। সবকিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর দাবিদাওয়াকেন্দ্রিক। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব নিয়ে কেউ আসে না।
মন্ত্রণালয়ের ৩০ শতাংশ সময় ব্যক্তিগত এসব বিষয়ে ব্যয় হয় বলে জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘কত রকম যে বঞ্চিত। যাঁকে আমি সারা জীবন জানতাম আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, সে–ও এসে কেঁদে দেয়—আমিও বঞ্চিত।’
‘ঐক্য–সংস্কার ছাড়া দ্রুত বিচার করা কঠিন’
গণহত্যার বিচারের প্রথম চ্যালেঞ্জ ‘ঐক্যের ফাটল’ বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সংলাপে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে এসে কেউ জমি দখলে ব্যস্ত, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ব্যস্ত, কেউ পদ–পদবি দখলে ব্যস্ত, কেউ নিজস্ব লোক পুনর্বাসনে ব্যস্ত। তিনি বলেন, ‘খুনিদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, খুনিদের বিচারের জন্য আমাদের ওপর যে পরিমাণ চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন ছিল, সেখানে আপনারা ফোকাস করেননি। ’
ঐক্য ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয় উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, সংস্কার ছাড়া যৌক্তিক কোনো বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সম্ভব নয়। ঐক্য ও সংস্কার ছাড়া গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে করাটা কঠিন এবং দুরূহ বলে মনে করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে যাতে আন্তর্জাতিক ও জাতীয়ভাবে কোনো ফরমায়েশি রায়ের তকমা না লাগে—এটি দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ক্রেডিবিলিটি মেইনটেন (বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখা) করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের।
সাধারণ হত্যা মামলা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা—দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস এবং ভিন্ন আঙ্গিকের বলেও উল্লেখ করেন আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, একটি ঘটনা এবং একজন সাক্ষীই যথেষ্ট। যদি সেই সাক্ষী সলিড (প্রকৃত) সাক্ষী হয়। বিগত ১৬ বছরে যে পরিবেশে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হয়েছে; একজন সাক্ষী না, অগণিত সাক্ষী পাওয়া গেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কোনো ভাই, কোনো আত্মীয়, কোনো মামা, কোনো চাচা, কোনো বন্ধু, কোনো প্রতিবেশী—কেউ এসে এই বিচারপ্রক্রিয়া থেকে সরাতে পারবে না, সেই প্রতিশ্রুতি ও প্রত্যাশা আপনাদের কাছে ব্যক্ত করছি। ’
‘টপ কমান্ডারদের’ বিচার
মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয় বলে সংলাপে উল্লেখ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তাঁর আশা, প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা যাবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর ও ১৭ জন তদন্ত কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের লক্ষ্য হচ্ছে গুম, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী যে অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে, সেই অপরাধের যাঁরা মাস্টারমাইন্ড (মূল হোতা), যাঁরা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন, তাঁদের বিচার প্রাধান্য দিয়ে করা। সে ক্ষেত্রে এই ট্রাইব্যুনাল হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে পারবে না এবং সেই লক্ষ্যে অগ্রসরও হচ্ছেন না তাঁরা।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। সব বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ছিল। দেশব্যাপী সবকিছুর বিচার এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর নিচের দিকে কয়েকজন ছিলেন, তাঁদের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘টপ কমান্ডার’দের বিচার শেষ করতে চান তাঁরা। সেই সক্ষমতা তাঁদের আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মামলা ও সবার বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
দেশব্যাপী যত অপরাধ হয়েছে, সে জন্য বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে এবং সাধারণ আদালতে বিচার চলছে, সেটা চলবে বলেও জানান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সেই বিচার করতে কত সময় লাগবে, সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন।’
দুই দিন আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁকে বলেছেন সরকারের অনেক প্রাধান্য আছে। যারা দেশটাকে খুন ও গুমের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিল, যারা ছাত্র-জনতার রক্তে এই বাংলার মাটি রঞ্জিত করেছে, তাদের বিচার করা ১ নম্বর প্রাধান্য। এই জায়গায় ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এক বছরের মধ্যে বিচার শেষ করার বিষয়ে যে বক্তব্য এসেছে, সে সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইন উপদেষ্টা হোক আর প্রসিকিউটর হোক, তাঁরা বিচারক নন। বিচারকও বলতে পারেন না যে, আমি বিজয় দিবসের আগে মামলার জাজমেন্ট (রায়) দেব। এটা বিচারপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে।’
‘এই বিচার কোনো প্রতিশোধের বিষয় নয়’
রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে জুলাই-আগস্টে গণহত্যা হয়েছে, এই বিচার কোনো প্রতিশোধের বিষয় নয় বলে সংলাপে উল্লেখ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সংলাপে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, আওয়ামী লীগ আমলের গুম-খুনের ধারাবাহিকতা হলো জুলাই গণহত্যা। তবে আগে বিচার পরে সবকিছু—এমনটা যেন না হয়। বিচার চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আইনজীবী তাসনুভা শেলী বলেন, জুলাই–আগস্টের গণহত্যায় ডিজিটাল এভিডেন্স (প্রমাণ) গ্রহণ করা হবে। সেই ডিজিটাল এভিডেন্স যে কৃত্রিম বুত্তিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়নি, এটা যদি বের করা না যায়, তাহলে বিচার করা খুবই কঠিন এবং দেরি হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এবারের বিচারে ডিজিটাল প্রমাণকে প্রধান চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন তিনি।
গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান প্রাধান্য হওয়া উচিত গুম–খুনের বিচার করা। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করার জন্য বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা কতটা আছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় এই অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া, এলডিপির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নেয়ামুল বশির, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ, গুমের পর ফেরত আসা ছাত্রদলের সাবেক নেতা কাজী সাইফুল, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য জাহিদ আহসান প্রমুখ।