চট্টগ্রাম নগরের আসকারদীঘির পাড়ের আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন কেন্দ্র। এখানে দুটি ভোটকেন্দ্র। ঢোকার মুখে লোকজনের বড় জটলা। বেশির ভাগ তরুণ। তাঁরা নৌকার সমর্থক। মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় প্রায় ফাঁকা। হাতে গোনা কয়েকজন ভোটার। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ চিত্র দেখা যায।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনের এই দুটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫ হাজার ৭১৭ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৪৩ জন, যা ৬ শতাংশের কম। কেন্দ্র-১–এর ২ হাজার ৮২৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম দুই ঘণ্টায় (সকার ৮ টা-১০টা) ভোট দিয়েছেন ১৫১ জন। অন্যদিকে কেন্দ্র-২–এর ২ হাজার ৮৯১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৯২ জন।
কেন্দ্র-২–এর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেন, সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে।
এই দুটি কেন্দ্রের আধা কিলোমিটার দূরত্বে জামালখান এলাকার ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র। এখানে নারী ও পুরুষের দুটি কেন্দ্র। নারী কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নগণ্য। ২ হাজার ১৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন মাত্র ৬৩ জন, যা ৪ শতাংশের কম। পাশের পুরুষ ভোটার কেন্দ্রেও একই অবস্থা।
পুরুষ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. রাশেদ আল মামুন প্রথম আলোকে জানান, প্রথম দুই ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৯০টি।
তবে জামালখান থেকে কাছাকাছি দূরত্বে বৌদ্ধমন্দির সড়কের ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি কেন্দ্রে ভোট পড়ার হার ১০ শতাংশ।
বেলা ১১টার দিকে এই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের ভেতরে বাইরে নৌকার সমর্থকদের জটলা। তাঁর ভোটারদের এগিয়ে দিচ্ছেন। কেউ কেউ সঙ্গে করে নিয়ে বুথে পর্যন্ত দিয়ে আসছেন।
একটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, প্রথম এক ঘণ্টার তাঁর কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ১২২ জন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ
ঢাকা-১৩: দুপুর ১২টা পর্যন্ত নারীর চেয়ে পুরুষ ভোটারের বেশি ভোট পড়েছে
নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাঙ্গলের প্রার্থীর ভোট বর্জন
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের কাছে এই আসনের ৪২টি কেন্দ্রে প্রথম দুই ঘণ্টার যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে ভোট পড়ার হার ৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৫ থেকে ২৩ ও ৩১ থেকে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে আসনটি গঠিত। ভোটার আছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ৫৭৬। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০। হিজড়া ভোটার ৮ জন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে অংশ নিচ্ছেন সাত প্রার্থী। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সানজীদ রশীদ চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের আবু আজম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মিটল দাশগুপ্ত, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ নূরুল হুসাইন ও তৃণমূল বিএনপির সুজিত সরকার।