মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে নারীপক্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি

মহান মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে আজ শুক্রবার আলোর শিখা জ্বালিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ছবি: প্রথম আলো

মহান মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নারী অধিকারবিষয়ক সংগঠন নারীপক্ষ। আজ শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

নারীপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের স্মরণে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠানটি উদ্‌যাপন করে আসছে নারীপক্ষ। সে ধারাবাহিকতায় এবারের অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য—‘সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ কতদূর?’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা নিয়ে বাংলাদেশের সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর এই রাষ্ট্রে বহু পটপরিবর্তন ও শাসকের বদল হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে দাঁড়িয়েও ভাবতে হচ্ছে, বাংলাদেশ কি আজও সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পেরেছে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে সব অসমতা দূর করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করতে হবে।

১৯৮৮ সাল থেকে প্রতিবছর ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার’ অনুষ্ঠানটি উদ্‌যাপন করে আসছে নারীপক্ষ
ছবি: প্রথম আলো

আজকের অনুষ্ঠানে এবারের প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’ গানের সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে হারিয়ে যাওয়া স্বজন এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের স্মরণে একটি করে আলোর শিখা জ্বালিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপস্থিত সবাই। গান পরিবেশন করেন জলতরঙ্গের শিল্পীরা। কবিতা আবৃত্তি করেন ইকবাল আহমেদ ও সালমা শবনম।

অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন নারীপক্ষের সদস্য রেহানা সামদানী। স্মৃতিচারণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ মাহমুদ ও কাজী সুফিয়া আকতার। নারীপক্ষের সদস্য ফেরদৌসী আখতারের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।