সালমান রহমান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলের আর্থিক লেনদেনের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তাঁর স্ত্রী ও ছেলে এবং তাঁদের ১৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে ৬৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশে দুদক বলছে, সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার থেকে টাকা লোপাট এবং প্রভাব খাটিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে সালমান এফ রহমান, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা রুবাবা রহমান, ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান এবং তাঁদের ১৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে রয়েছে তাঁদের নিজ ও যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ফরম, টিপি ও হিসাব খোলার পর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হিসাব বিবরণী এবং ঋণসংক্রান্ত তথ্য।
এ ছাড়া সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে আজ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদক সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি-অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র বলছে, মোজাম্মেল হকের গাজীপুরে তিনতলা ও দোতলা দুটি ভবন রয়েছে। তাঁর নামে একাধিক গাড়ি, বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা জমা, ব্যবসায় বিনিয়োগ ও জমি রয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ দেওয়ার মাধ্যমে টাকা অর্জন করেছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে নুরুল ইসলাম নাহিদ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। ঢাকার উত্তরায় নিজ নামে ফ্ল্যাটসহ আট কাঠা জমি ও সিলেটের বিয়ানীবাজারে জমি রয়েছে তাঁর। নুরুল ইসলাম নাহিদ ও তাঁর স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা, ব্যবসা ও সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি তাঁর ভাই ও বন্ধুর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে টাকা পাচার করেছেন।