ক্যাডার ও নন-ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে ৮ প্রস্তাব বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদের
ক্যাডার ও নন-ক্যাডার বৈষম্য দূর করতে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সংস্কারে আটটি প্রস্তাব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী গণকর্মচারী পরিষদ নামের একটি সংগঠন। শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রের বেসামরিক সব সরকারি কর্মচারীর (১-২০তম গ্রেড পর্যন্ত) পরিচিতি ও সরকারি সুযোগ গ্রেডভিত্তিক করা। এ লক্ষ্যে ‘ক্যাডার’ এবং ‘নন-ক্যাডার’ নামক বৈষম্যমূলক অভিধা বিলুপ্ত করে সেবার ধরন অনুযায়ী ‘গুচ্ছ সার্ভিস’ পদ্ধতি চালু করা।
ক্যাডার ও নন-ক্যাডারভিত্তিক নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তে সার্ভিসভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিত এবং বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংস্থায় প্রেষণ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে নিজ নিজ দপ্তরের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করা।
‘সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা কমিশন’ নামে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন করা। এ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সব সার্ভিসের জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদ সৃজন, পদ উন্নীতকরণ, সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়ন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এবং যৌক্তিকীকরণের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈষম্য বিরাজ করছে। ক্যাডার ও নন-ক্যাডার নির্বিশেষে বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে যে ভয়াবহ মৌলিক বৈষম্য বিরাজ করছে, এই বৈষম্য দূর করা জরুরি। অন্যথায় প্রশাসনে আরও বিশৃঙ্খলা বাড়বে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিচিতি, পদোন্নতি, আর্থিক সুবিধা, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ এবং কর্মসম্পাদনে বৈষম্য স্পষ্ট। নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা একই গ্রেডে থেকেও সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ ছাড়া পদোন্নতির অভাব, প্রেষণভিত্তিক নিয়োগ এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনায় বৈষম্য তাঁদের পেশাগত কর্মস্পৃহা ও দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।