কোটা সংস্কার আন্দোলন: চট্টগ্রামে শাহ আমানাত সেতু এলাকায় পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ চলছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলেশের সংঘর্ষ চলছে। আজ দুপুর বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায়জুয়েল শীল

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের ওপর চড়াও হয় এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০টা ৫৬ মিনিটে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। জবাবে শিক্ষার্থীরাও ইট ছুড়ে মারেন। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাঁরা অবস্থান ছাড়ছেন না।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আজ বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায়
জুয়েল শীল

এর আগে ওই এলাকায় অল্প পরিমাণে শহর এলাকার বাস, টেম্পো, অটোরিকশা ও দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করার পর যান চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে যায়। তবে নগরের অন্যান্য এলাকায় কিছু পরিমাণ গণ পরিবহন চলাচল করছে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল নগণ্য।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের এ কর্মসূচিকে পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে বলে জানান নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আশরাফুল আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অবস্থান নেওয়ার তথ্য আছে পুলিশের কাছে। এ জন্য নাশকতা এড়াতে পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়েছে।

পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আজ ১১ টায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায়
জুয়েল শীল

তবে জামায়াত-শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। জানতে চাইলে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আলী বলেন, দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাঁরা এখানে জড়ো হয়েছেন। আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনার বিচার চান তাঁরা। এ ছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মুরাদপুর ও শুলকবহর এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মো. ফারুক (৩২), ওয়াসিম আকরাম (২২) ও ফয়সাল আহমেদ (২০) নামের তিনজন নিহত হন। এ ছাড়া সারা দেশে আরও তিন শিক্ষার্থী মারা যান এবং আহত হন চার শর বেশি।