তিন মামলা, ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সম্পত্তিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচজন কর্মকর্তাকে তাঁদের বাসা, অফিসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনের বিভিন্ন সময়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেছেন। এসব মামলায় কোম্পানির শেয়ার ও অর্থসম্পদ নিয়ে প্রতারণামূলক বিশ্বাস ভঙ্গ এবং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। পিবিআই এজাহারভুক্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গুলশান থানা–পুলিশ জানায়, তিনটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বাদী শাযরেহ হকের বড় বোন ও ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান; তাঁর মা ও ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান এবং সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকমের হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেনের নামও রয়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলার [গুলশান থানা মামলা নং–২১ (২) ২৪] তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আলাউদ্দিন। তিনি গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি যে মামলাটির তদন্ত করছেন, সেটিতে কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাঁকে আজ শুক্রবার আদালতে হাজির করা হবে। বাকিদের অন্য দুটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।