বাড়ির সামনে প্রায় হাঁটুসমান পানি, রিকশায় চড়ে ঢুকলেন মেয়র

হাঁটুসমান পানিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠান ও সড়ক। তাই মূল সড়ক থেকে রিকশায় চড়ে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করছেন মেয়র। বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম, ৫ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠান ও সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। আজ শনিবার ভোরের বৃষ্টিতে মেয়রের বাড়ির সামনে পানি জমে। দুপুরের পরও সেই পানি নামেনি। এ অবস্থায় মেয়রকে মূল সড়ক থেকে বাড়ির আঙিনায় যেতে হয়েছে রিকশা নিয়ে।

রিকশায় চড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বাড়িতে প্রবেশের সময় এই ভিডিও করা হয় বলে জানা গেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা প্রায় হাঁটুসমান পানিতে ডুবে আছে। মেয়রকে বহনকারী একটি রিকশা সেই পানি পেরিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। মেয়রের রিকশার পাশে ও পেছনে লোকজন ছিলেন। একজনকে ছাতা ধরে থাকতে দেখা যায়।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, শনিবার সকালে নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে অংশ নেওয়ার জন্য মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সকালে নগরের বহদ্দারহাটের বাড়ি থেকে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে আসেন। সভা শেষে গাড়ি করে বহদ্দারহাটে যান। বাড়ির সামনে পানি থাকায় মূল সড়ক থেকে রিকশা নেওয়া হয় মেয়রের জন্য। সে রিকশায় চড়ে মেয়র বাড়িতে প্রবেশ করেন।

সিটি করপোরেশনের মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আওরঙ্গজেব শিবলু আজ বিকেল চারটায় প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে একটি সভা ছিল। সকালে তাতে অংশ নেন মেয়র। এরপর বাড়িতে চলে এসেছেন। মেয়রের বাড়ির সামনে পানি জমে থাকায় রিকশা নিতে হয়েছে। রিকশায় চড়ে বাড়িতে প্রবেশ করেছেন তিনি।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবার ভোরের বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে ডুবে যায়। অন্যান্য এলাকার মতো নগরের বহদ্দারহাটে সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তায় পানি জমেছিল। বেলা ৩টায়ও নগরের অনেক এলাকায় পানি নামেনি।

আগের দিন শুক্রবারও বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ও অলিগলি ডুবে গিয়েছিল। টানা দুদিনের জলাবদ্ধতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নগরের বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও, ফরিদার পাড়া, বারইপাড়া, ডিসি সড়ক, কে বি আমান আলী সড়ক, শুলকবহর, মুরাদপুর, বাদুরতলা, কাপাপগোলা, কাতালগঞ্জ, ফুলতলী, বউবাজার, রাহাত্তর পুল, কালাম মিয়া বাজার, খাজা রোড, খতিবের হাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, দুই নম্বর গেট, আল ফালাহ গলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে হওয়া লোকজনকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে শনিবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।